হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেছেন। দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতা বৃদ্ধির পর পদত্যাগ করলেন হেনরি। হাইতিতে রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার জ্যামাইকায় আঞ্চলিক নেতারা মিলিত হন। এর পরেই এমন খবর পাওয়া গেল।
সশস্ত্র গ্যাং তাঁকে বাড়ি ফিরতে বাধা দেওয়ায় হেনরি বর্তমানে পুয়ের্তো রিকোতে আটকা পড়েছেন। ২০২১ সালের জুলাইয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়। এর পর থেকে তিনিই দেশটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
কিংস্টনে বৈঠকের পর বক্তৃতাকালে, ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায়ের চেয়ারম্যান এবং গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী বলেছেন, ‘আমরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি পরিষদ প্রতিষ্ঠা এবং অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নামকরণের বিষয়টি বিবেচনা করেছি এবং তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করেছি।
’
গত রবিবার অপরাধীদলগুলোর সহিংসতার মাত্রা বেড়ে গেলে হাইতিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে অপসারণের জন্য জোর দিচ্ছিল গ্যাং নেতারা। অনির্বাচিত এই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের রাস্তাগুলো অস্ত্রধারী দলগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সহিংসতা বেড়ে গেলে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় হাজারো মানুষ।
এদিকে গ্যাং সহিংসতা বাড়ার কারণে হাইতি থেকে দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বিমানযোগে দ্রুত সরিয়ে নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া হাইতিতে গ্যাং সহিংসতার লাগাম টানতে নিরাপত্তা মিশন পাঠানোর অনুমোদন দেয় জাতিসংঘ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্যই স্থানীয় সময় গত সোমবার এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল। কেনিয়ার নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী এই মিশন যাবে হাইতিতে। গ্যাং সন্ত্রাস দমনে ভূমিকা রাখবে এবং নানা পদক্ষেপও নেবে।
সহিংসতা আকাশচুম্বী হওয়ায় হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি কয়েক বছর ধরে বারবার আন্তর্জাতিক সহায়তার অনুরোধ করে আসছেন।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন