বিশ্বকাপের বছর হওয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার কিছুটা হলেও ধাক্কা হয়ে এসেছে স্বাগতিকদের জন্য। বিশেষ করে শেষ টি-টোয়েন্টিতে নুয়ান থুসারার সামনে অমনভাবে ভেঙে পড়া নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে হতাশ করেছে। দম ফেলার অবশ্য ফুরসত নেই।
আগামীকাল থেকেই যে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সিরিজ হারের ক্ষতে প্রলেপ দিতে ওয়ানডে সিরিজই এখন ভরসা বাংলাদেশের। গতকাল বিসিবির সঙ্গে কথোপকথনে তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়ের কথায় ফুটে উঠেছে, ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া স্বাগতিকরা। শেষ টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে আউট হন তাওহিদ।
আউট হয়ে ফেরার পথে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে জরিমানাও গুনেছেন। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না তাওহিদ, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি ওভাবে চিন্তা করি না। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে আমার ভালো লাগে। দল হিসেবে যদি বলি অবশ্যই সিরিজ জেতার জন্য খেলব, সবার মধ্যে ওই ক্ষুধাটা আছে।
এই সিরিজটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিংও। যেহেতু একটা সিরিজ আমরা হেরেছি। তবে আমরা যদি আমাদের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারি, তাহলে ভালো কিছুই হবে।’ বিপিএলের পরপরই লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এবার আরেকটি ভিন্ন সংস্করণ।
তাওহিদের মতে ৫০ ওভারের ফরম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না, ‘আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত সব কিছু ঠিক আছে। ক্রিকেটাররাও ভালো অবস্থায় রয়েছে। আমরা সবাই টি-টোয়েন্টি থেকে এসেছি। যেহেতু আমাদের হাতে দুই-তিন দিন সময় রয়েছে, আমি মনে করি, ওয়ানডের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এটা যথেষ্ট সময়।’ একই সঙ্গে তাওহিদের চাওয়া, যে ভুলগুলো টি-টোয়েন্টি সিরিজে হয়েছে, সেগুলো ওয়ানডেতে যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা, ‘যেটা চলে গেছে সেটা বলে আর লাভ নেই (টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার)। সেখানে যেসব ভুলগুলো করেছি, সামনের ম্যাচে যত কমিয়ে আনতে পারব, আমাদের জন্য ভালো। ভুলের সংখ্যা কমে এলে ভালো ইমপ্যাক্ট ফেলবে দলে।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজ মনমতো না গেলেও গত এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো স্মৃতি আছে তাওহিদের। কলম্বোতে ৮২ রানের ইনিংসে একার হাতে ম্যাচ প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিলেন। সেই ইনিংস কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস দেবে বলে মনে করেন এই ব্যাটার, ‘ওটা আমার কাছে অতীত, এটা নিয়ে আমি ভাবতে চাই না। হয়তো বা ওখান থেকে একটু আত্মবিশ্বাস পাব। কিন্তু দিনশেষে ওই নির্দিষ্ট দিনে ভালো করতে হবে।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন