রোজায় খোলা থাকবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় : আপিল বিভাগ

রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন এবং সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা রাখতে সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রথম ১৫ দিন মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গত ১০ মার্চ স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে ১১ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

কিন্তু চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ না করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে শুনানির জন্য রাখেন। সে ধারাবাহিকতায় শুনানির পর আদেশ দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

 

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

আর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ।

 

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং মাধ্যমিক-নিম্নমাধ্যমিক স্কুল ১৫ দিন খোলা থাকবে।’

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশ রোজার মাসে এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে না। তিনি এর পক্ষে সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, ইরানসহ বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্যালেন্ডর আদালতে তুলে ধরেন।

 

 

অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, ‘রোজায় ইরানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ছুটি নাই। ঈদের জন্য ২ দিন ছুটি দেওয়া হয়। পাকিস্তানে ৩ দিন, মালয়েশিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে, কেবল ঈদে ৪দিন ছুটি। এছাড়া তুরস্কে ৫ দিন, মিশর ৯ দিন, আফগানিস্তানে ৭ দিন বন্ধ থাকে। রোজার মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৮ দিন বন্ধ থাকে সৌদি আরবে।

 

এর বিপরীতে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘রোজার সময় আমাদের দেশে যেসব অসুবিধা সৃষ্টি হয় তা কি অন্যান্য মুসলিম দেশে হয়? শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্কুল একমাস বন্ধ করেছিল। পরে আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে খোলা রাখার কথা বলা হয়।’

এরপর আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়।   

রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পরে বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শফিউর রহমান চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন