নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন কমল হাসান-বিজয়

এই মুহূর্তে ভারতজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নাগরিকত্ব আইন। লোকসভা নির্বাচনের  আগ মুহূর্তে সোমবার (১১ মার্চ) মধ্যরাত থেকেই দেশে কার্যকর হয়ে গেছে নাগরিকত্ব আইন। যদিও বেশ কয়েক বছর আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএএ পাশ হয়েছে সংসদে। এবার সেটা কার্যকর করা হল।

নিয়ম বিধি তৈরি করে সদ্যই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আর দেশে সিএএ আইন কার্যকর হতেই অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন। এবার এই আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন দুই দক্ষিণী তারকা কমল হাসান এবং বিজয় থালাপতি।

 

কমল হাসান জানিয়েছেন, সিএএ আসলে দেশকে ভাগ করার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।

তিনি বলেন, ‘এই আইনটি অত্যন্ত তাড়াহুড়া করে পেশ করা হয় এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে এখন কার্যকর করা হচ্ছে। এটা বিজেপির ঘৃণ্য পরিকল্পনাগুলোর অন্যতম। ধর্ম, ভাষা এবং বর্ণের ভিত্তিতে সরকার আমাদের নাগরিকদের বিভক্ত করতে চাইছে।’

 

অন্যদিকে বিজয় আগেই জানিয়েছেন যে তিনি এখন অভিনয়ের থেকে মন সরিয়ে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে চান।

আর সেটার শুরু তিনি ইতোমধ্যেই করে ফেলেছেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি তিনি তামিলেগো ভেট্ট্রি কাজাগাম নামক একটি দল তৈরি করেছেন। এরপরই গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) তামিল নাড়ুর সরকারকে এই আইনের বিরোধিতা করে একটি চিঠি লেখেন থালাপতি বিজয়। তিনি তাঁর চিঠিতে সাফ জানান, এই আইন মানা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। অভিনেতা বলেন, ‘এটা মানা অসম্ভব।

আমাদের রাজ্যে সিএএর মতো কোনও আইন কার্যকর হতে পারে না। আমরা কিছুতেই মানব না এটা। এই আইন আমাদের দেশের জন্য বেমানান।’

 

ভারতের সবচেয়ে আলোচিত সিএএ আইন হচ্ছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যে মুসলিম ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্যান্য ধর্মের সংঘ্যালঘু মানুষরা ভারতে এসেছেন তাঁরা এই দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। সিএএর কারণে অসম, বাংলা সহ ত্রিপুরার মতো রাজ্যের বহু মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। এনআরসি হয় যখন তখন অসমের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ সমস্যায় পড়েন। তাই দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যের নেতৃবৃন্দরা ইতোমধ্যেই এই আইনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর রাজ্যের কারও নাগরিকত্ব ক্যানসেল হলে তিনি তার বিরোধিতা করবেন এবং মোটেই ছেড়ে দেবেন না।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন