ফোনে ক্যাপ্টেন বললেন ভালো আছি, সুস্থ আছি

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহসহ জিম্মি ২৩ জন নাবিকের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবারও যোগাযোগ করা যায়নি। বিকেলের দিকে জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের গ্যারাকাদ এলাকায় নোঙর করা হয়েছে। এটির স্যাটেলাইট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

ফোনে ক্যাপ্টেন বললেন ভালো আছি, সুস্থ আছিআলোচনায় রয়েছে মুক্তিপণের জন্যই জাহাজসহ নাবিকদের জিম্মি করা হয়েছে।

তবে জিম্মিদশার এই ঘটনায় এরই মধ্যে তিন দিন কেটে গেলেও কেউ মুক্তিপণ দাবি করেনি বলে জানা গেছে।

 

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় একাধিক নাবিক তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজটি জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর ২৩ নাবিককে এক জায়গায় রাখা হলেও এখন নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ দিয়েছে তারা। একটু কথা বলার পর মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।

 

জানতে চাইলে জাহাজটির প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আজ (গতকাল) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ তাঁর পরিবার এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ভালো ও সুস্থ থাকার কথা জানিয়েছেন। সবাই এখন নিজেদের কেবিনে আছেন। কথা বলার পর আবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়।

 

গতকাল বিকেল ৫টায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান তাঁর ভাই আবদুল্লাহ খান আসিফকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। অডিও বার্তাটি কালের কণ্ঠ’র হাতে এসেছে। অডিও বার্তায় আতিক উল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কেমন আছ? আমরাও ভালো আছি, সুস্থ আছি। কিন্তু মানসিকভাবে বিপর্যপ্ত। আমরা সবাই ব্রিজে ঘুমাই, একটি ওয়াশরুম ব্যবহার করি।

 

গতকাল (বুধবার) একটি নেভি জাহাজ এসেছিল। আজকেও এসেছিল। দুই জাহাজ এসেছিল আমাদের উদ্ধার করার জন্য। কিন্তু এটা কোনোভাবে সম্ভব নয়। ওরা (জলদস্যু) আমাদের জিম্মি করে মাথায় বন্দুক ধরে রাখে। বড় বড় জাহাজ এলে তারা আমাদের মেশিনগান ধরে রাখে। ওরা কাউকে ভয় পায় না। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি। আমি এখন যেখানে ঘুমাই, সেখানে তারা বড় বড় মেশিনগান তাক করে রাখে। তার পরও সুস্থ আছি।’

তিনি বলেন, ‘এখনো খাওয়াদাওয়া আছে। জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করতেছে। আমাদের পানি ব্যবহার করতেছে। আমাদের রসদ কত দিন যেতে পারে জানি না। বড়জোর ১০ থেকে ১৫ দিন যাবে। আমাদের রসদ যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন আমরা খুবই কষ্টে পড়ে যাব। এরপর কী হবে জানি না। এটাই হলো আমাদের পরিস্থিতি।’

এদিকে যত সময় পার হচ্ছে, ততই জিম্মিদশায় থাকা নাবিকদের পরিবার-স্বজনরা চিন্তিত হয়ে পড়ছে। তাদের ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে। তবে কত দিন লাগতে পারে, তা নিয়ে নিশ্চিত করে কেউ বলতে না পারলেও স্বজনদের কান্না কিছুতেই থামছে না। তবে সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষ থেকে নাবিকদের উদ্ধারের জন্য জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। 

গতকাল ওই জাহাজে গোলাগুলির শব্দ শোনার কথা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বলা হলেও বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করেনি। এ ছাড়া মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠলেও তা সঠিক নয় বলে জানায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো এবং জাহাজ মালিকপক্ষ।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওদের টার্গেট (সশস্ত্র জলদস্যু) মুক্তিপণ। কারণ জাহাজে আছে কয়লা। আজ (গতকাল) ভোর ৬টার দিকে জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের গ্যারাকাদ নোঙর এলাকা থেকে ৭২ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। সেখান থেকে বিকেলে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ এলাকায় নোঙর করা হয়েছে। স্যাটেলাইট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখায় নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মুক্তিপণ এখনো দাবি করা হয়নি। কয়েক দিন মানসিকভাবে চাপে রাখার কৌশল নিতে পারে জলদস্যুরা।’

জাহাজ ও নাবিকদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নাবিকদের উদ্ধার নিয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে যা যা করা দরকার, আমরা সব কিছুই করব। আজ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমরা ছিলাম। উদ্ধারপ্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুদের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ নিয়ে কারো সঙ্গে কথা হয়নি। কেউ যোগাযোগও করেনি।

এমভি আবদুল্লাহর সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত করছে লন্ডন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি)। সংস্থাটির বরাত দিয়ে গতকাল দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জানান, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা নাগাদ জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের গ্যারাকাদ নোঙর এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে দস্যুরা নোঙর করে রেখেছে।

আবদুল্লাহকে অনুসরণ করছে ইইউ নৌ পুলিশ

এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নৌ পুলিশ বাহিনী (ইইউ’স মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্স)। গতকাল ইইউয়ের নৌ পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশি পতাকাবাহী এই জাহাজসহ ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করার ঘটনাটি জানতে পারে ভারত মহাসাগরে টহলরত ব্রিটিশ নৌবাহিনী। এরপর নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এই তথ্য ইইউ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সকে জানান। ওই বিবৃতিতে ইইউ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্স জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চলমান অভিযান ‘অপারেশন আটলান্টা’র অংশ হিসেবে জাহাজটিকে অনুসরণ করছেন মেরিটাইম সিকিউরিটির সদস্যরা। ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের তৎপরতা ঠেকানো এবং তাদের দমন করতে সম্প্রতি অপারেশন আটলান্টা শুরু করেছে ইইউ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্স। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও সংস্থার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা যায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধারে করণীয় নিয়ে এক আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সচিব খুরশেদ আলম। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই জাহাজটি কিন্তু হাইরিস্ক এরিয়ার (উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা) ভেতর দিয়ে যায়নি। তার পরও তারা (জলদস্যু) অপেক্ষায় ছিল। হয়তো তারা কোনো জাহাজ পায়নি। সে জন্য এটা হাইজ্যাক করেছে। তারা জাহাজটি দখলে নেওয়ার পর সোমালিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আজ ভোর নাগাদ সোমালিয়ার কাছাকাছি তারা জাহাজটি নোঙর করেছে।’

তিনি বলেন, জাহাজ ছিনতাই করা দস্যুরা এখনো বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। 

এক প্রশ্নের জবাবে খুরশেদ আলম বলেন, ‘মুক্তিপণের যে বিষয়টি বলা হচ্ছে, এটা মিডিয়ার সৃষ্টি। আমাদের কাছে এখনো কোনো মুক্তিপণ তারা (দস্যুরা) চায়নি। মুক্তিপণের ব্যাপারে কোনো যোগাযোগও তারা করেনি।’

তিনি বলেন, ‘এখনো জানি না তাদের কী দাবিদাওয়া। আমরা যদি জানতে পারি তখন হয়তো এটা কৌশলগত কারণে আপনাদের (মিডিয়া) পুরোপুরি জানাতে পারব না। গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন এলে তারা ওখানে দেখবে। যখন তারা দেখবে সরকার চাপের মধ্যে আছে, তখন তারা কিন্তু তাদের ডিমান্ড বাড়িয়ে দেবে।’

খুরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা চেষ্টায় আছি। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কথা বলেছেন। আমাদের ডিজি শিপিং আমাদের সঙ্গে আছেন। জাহাজের যে মালিক তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। মোটামুটি সব পক্ষের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।’

নাবিকদের নিরাপদে ফেরানো প্রসঙ্গে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স সচিব বলেন, ‘অলরেডি প্রসেস শুরু হয়ে গেছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য নাবিক ২৩ জন এবং জাহাজের মালপত্রসহ দেশে ফেরত আনা। সেই লক্ষ্য থেকে আমরা বিচ্যুত হব না। হয়তো তাড়াতাড়ি একটি সুসংবাদ দিতে পারব।’

নাবিকদের উদ্ধারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুর্ভিক্ষপীড়িত সোমালিয়ায় আইন-শৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতি। এখানে মুক্তিপণ আদায় মূল লক্ষ্য। আমাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগের কোনো ঘাটতি নেই।’ গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময়সভায় জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের জাহাজ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সোমালিয়ায় বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জিম্মিদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুবই সক্রিয়। জিম্মি ২৩ জনের ইনস্যুরেন্সও আছে।

জানা যায়, এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৯ মার্চ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এই জাহাজের সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছার কথা ছিল। মাপুতু থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত মঙ্গলবার সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ।

‘আব্বু, আমাকে মাফ করে দিয়েন

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে বন্দি ফরিদপুরের তারেকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে চলছে আহাজারি। মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ছকড়িকান্দি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

তারেকুলের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “মেসেজের মাধ্যমে তারেকুলের খবরাখবর জানতাম। হঠাৎ করেই মেসেজ আসে, ‘আব্বু, আমাকে মাফ করে দিয়েন।’ এরপর আর কোনো যোগাযোগ নেই।” তিনি বলেন, ‘জাহাজ কম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এখনো কিছু বলতে পারছে না। সুস্থভাবে ছেলেকে ফিরে পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

নাবিকদের দুজনের বাড়ি মিরসরাই

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকদের দুজনের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। এঁদের মধ্যে ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিলের (২৪) বাড়ি উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা ওয়ার্ডের মশ্চিম সোনাই গ্রামে। ওয়্যারলেস অপারেটর আইনুল হক অভির বাড়ি উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূঁইয়া গ্রামে। আইনুলের পরিবার বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় বসবাস করে।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন