সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সহায়তায় যুদ্ধজাহাজ এবং একটি দূরবর্তী টহল জাহাজ (এলআরএমপি) মোতায়েন করেছে ভারতের নৌবাহিনী। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, বাংলাদেশি জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে দূরবর্তী টহল জাহাজ (এলআরএমপি) মোতায়েন করা হয়। এরপর ১২ মার্চ সন্ধ্যায় জাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করার পর জাহাজের নাবিকদের অবস্থা জানতে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু জাহাজ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তাদের পোস্টে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় পরে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। সেটি ওই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তায় কাজ করছিল। যুদ্ধজাহাজটি ১৪ মার্চ সকালে ছিনতাইকৃত জাহাজটির গতিপথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
নৌবাহিনীর বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সশস্ত্র জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাণিজ্যিক জাহাজের ক্রুদের (বাংলাদেশি নাগরিক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং জাহাজটি সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এর কাছাকাছি অবস্থানেই ছিল। বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ কাছাকাছি এলাকায় উপস্থিত রয়েছে।
পশ্চিম ভারত মহাসাগরে বেশ কিছু বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলার পর ভারতীয় নৌবাহিনী গত কয়েক সপ্তাহে ওই অঞ্চলে নজরদারি বাড়িয়েছে। গত জানুয়ারিতে সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে ইরানের পতাকাবাহী একটি মাছ ধরার জাহাজে জলদস্যুরা হামলা করার পর ১৯ পাকিস্তানি নাবিককে উদ্ধার করেছিল ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা।
এ ছাড়া গত ৫ জানুয়ারি উত্তর আরব সাগরে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি লিলা নোরফোক ছিনতাইয়ের চেষ্টাও ব্যর্থ করে ভারতীয় নৌবাহিনী।
গত মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে এমভি আব্দুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাহাজের ২৩ ক্রুকে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। বৃহস্পতিবার জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারাকাদ বন্দর থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়। মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টায় ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজে থাকা সব নাবিকই বাংলাদেশি।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন