সিলেটের বেশিরভাগ মানুষের সবসময়ই স্বপ্ন থাকে- ইউরোপের কোনো দেশে পাড়ি জমিয়ে উন্নত জীবন যাপনের পাশাপাশি পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা। এই স্বপ্ন ও বাসনা থেকেই এক বছরে ইউরোপের দেশ কানাডায় সিলেটের হাজার হাজার মানুষ পাড়ি জমিয়েছেন। ভ্রমণ, উন্নত পড়াশোনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন এবং স্কিল মাইগ্রেশন- সব মিলে কানাডার ভিসার আগের তুলনায় এবারই আবেদন পড়েছে সব থেকে বেশি। কিছুদিন আগ পর্যন্ত কানাডা প্রায় ‘গণহারে’ ভিসা দেওয়ায় আবেদনের মাত্রা আরও বেড়েছে।
তবে অনেক সময় মিলছে অসাধু ট্র্যাভেল এজেন্সির জাল-জালিয়াতির খবর। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া, জেনুইন আবেদনকারীদের হয়রানির অভিযোগসহ সামগ্রিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে অনেকটা নীরবেই ঢাকা ঘুরে গেছেন কানাডার উচ্চ পর্যায়ের কনস্যুলার টিম। সফরকালে ঢাকায় কানাডার ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিএফএস (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সার্ভিসেস) গ্লোবালের সঙ্গে বৈঠক করেছে এ টিম। টিমের সদস্যরা ভিএফএস’র সিলেট এবং চট্টগ্রাম অফিসে লোকবল বাড়ানো এবং সার্ভিস আরও দ্রুততর করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ব্যয় সংকোচনে ঢাকা থেকে কানাডা তাদের ভিসা প্রসেসিং সেন্টার অনেক আগে সরিয়ে নেয়। তবে বিকল্প হিসেবে অনলাইনে ভিসার আবেদন গ্রহণ, কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্বানুমতি বা প্রাথমিক অনুমোদন এবং চূড়ান্ত পর্বে ভিএফএস গ্লোবালের রিজিওনাল যেকোনো অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্টে ভিসা স্টাম্পিংয়ের পথটি খোলা রেখেছে দেশটি। গত ক’বছর ধরে এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা দিচ্ছে কানাডা। প্রক্রিয়াটি বেশ স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভিসা আবেদনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সেই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষ করে অনুমোদন পরবর্তী ভিসা স্ট্যাম্পিংয়ের জন্য ভিএফএস-এ পাসপোর্ট সাবমিশনে শিডিউল না পাওয়ার অভিযোগ দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে কানাডার উচ্চ পর্যায়ের কনস্যুলার টিম। বাংলাদেশে এসে কনস্যুলার টিম সামনে আসা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেছেন। যার মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ছিল। এসব বৈঠকে কানাডার জেনুইন ভিসা আবেদনকারীদের হয়রানি বন্ধ তথা তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় স্মুথ করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন