স্কুলে বসে পান বাবার মৃত্যুর খবর, ভিডিওতে চাইলেন দোয়া

১৮ মার্চ সোমবার সন্ধ্যা। পুরো শহরজুড়ে ইফতারের প্রস্তুতি। ইফতার শেষে যখন শরীর ক্লান্ত হয়ে এসেছে তখন এই শহরের এক গায়ক বুকে ব্যথা অনুভব করেন। মাত্র ৫৬ বছর বয়স তাঁর।

শহরবাসীর গড় আয়ুর চেয়ে প্রায় ১৫ বছর কম। তার তো ‘হয়নি যাওয়ার বেলা’। তখনই তাকে দ্রুত নেওয়া হয় রাজধানীর গ্রীন রোডের একটি হাসপাতালে। তিনি যখন হাসপাতালের পথে, তখন তার সন্তান স্কুলে।

হ্যাঁ ঢাকা থেকে প্রায় আট হাজার মাইল দূরে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের একটি স্কুলে।

 

কয়েক মাস আগে যখন পরিপাটি নিশ্চিত জীবন রেখে দেশে ফিরেছেন গায়ক খালিদ, তখন নিশ্চয়ই কিশোর সন্তান জুয়াইফা আরিফের কাঁধে হাত রেখে বলে এসেছেন, ‘আবার দেখা হবে, এখনই শেষ দেখা নয়’। পুরো জীবন জুড়ে ‘সরলতার প্রতিমা’ হয়ে থাকা প্রিয়তমা স্ত্রীও আছেন সন্তানের সঙ্গেই।

তাকেও নিশ্চয় বলে এসেছেন, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’ আমি ফিরব।

 

কিন্তু সেসবের কিছুই হয়নি। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার খানিক পরেই বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়ে দেন, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’। ফেরেননি খালিদ। রেখে গেছেন তার স্ত্রী, সন্তান, সহকর্মী আর অসংখ্য ভক্তদের।

যাদের প্রেম আর বিরহ যাপন হতো খালিদের গানে, খালিদের কণ্ঠ হয়ে উঠতো নিজের কণ্ঠ। আর রেখে গেছেন তার ব্যান্ড ‘চাইম’।

 

বাবার মৃত্যুর পর সাংবাদিক, উপস্থাপক তানভীর তারেকের মাধ্যমে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন সন্তান জুয়াইফা আরিফ। সেই ভিডিওতে সদ্য প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেছেন, ‘আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তাকে মাফ করে দিয়েন।’
না ফেরার দেশে চলে যাওয়া খালিদ অপেক্ষা করেননি স্ত্রী আর সন্তানের জন্য। রাতেই লাশবাহী গাড়িতে ছুটে চলেছেন নিজের জন্মস্থান গোপালগঞ্জে। তার আগে মধ্যরাতে ঢাকায় তার বাসস্থান গ্রীন রোডের জামে মসজিদে জানাজা হয়েছে এক দফা। আজ মঙ্গলবার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হবেন বাংলা ব্যান্ডের দরদমাখানো এই শিল্পী।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন