বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জার্মানীর অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্টেট সেক্রেটারি ডঃ বারবেল কফলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় তাঁরা পারষ্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। গতকাল মঙ্গলবার জার্মানীর বার্লিনে তাঁদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ উদ্ভাবন এবং স্থিতিস্থাপকতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রাম সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। এই যুগান্তকারী উদ্যোগটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে পরিষ্কার এবং টেকসই জ্বালানির উৎসগুলির প্রতি আকৃষ্ট করছে; সেই সাথে তাদের আশা ও আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করে নিজেদের স্বাবলম্বি করছে।
নসরুল হামিদ বলেন, সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রামটি কেবল ঘর আলোকিত নয় বরং যারা আগে অন্ধকারে ছিল তাদের জন্য আশার আলো বয়ে এনেছে। উপরন্তু, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার মতো উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।
বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব এবং সম্পদের ব্যবহার করে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি প্রশমিত করতে বদ্ধপরিকর।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, একটি ৬০ মেগাওয়াট অনশোর উইন্ড পাওয়ার সাম্প্রতিক কমিশনিং জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই অর্জন শুধুমাত্র ঐতিহ্যগত জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে না বরং জার্মানীসহ উন্নত দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহযোগিতা করার আগ্রহও তুলে ধরে। বায়ু প্রযুক্তিতে জার্মানির অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বায়ু বিদ্যুতের জন্য বিশেষ অবদান রাখতে পারে।
নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। উদ্ভাবন ও অংশীদারিত্ব উভয় দেশের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ সংকেত। এই সবুজ সংকেত অন্যদের অনুসরণ করার জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
জার্মানীর সংসদীয় স্টেট সেক্রেটারি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছেন, জার্মানী বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে সহযোগিতা করবে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন