‘এশা মার্ডার—কর্মফল’ ছবির টিজারে পুলিশ অফিসার হিসেবে দেখা গেছে আজমেরী হক বাঁধনকে। সানী সানোয়ারের ছবিটি রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও আসছে কোরবানির ঈদে। ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে বাঁধনের সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।
‘এশা মার্ডার—কর্মফল’-এর টিজার প্রকাশিত হয়েছে।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
দারুণ সাড়া পাচ্ছি। অনেকে কল করেছেন, তা ছাড়া ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে রিভিউ দেখছি, সবাই পজিটিভ আলোচনা করছেন। এখন দায়িত্ব অনেকটা বেড়ে গেল। ছবিটা সবার ভালো লাগলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।
আমরা সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখছি। আশা করছি টিজার দেখে সবাই যেমন প্রত্যাশা করছেন, ছবিটি তেমনই হবে। ছবিটি রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
নতুন করে কোরবানির ঈদের ঘোষণা এলো কেন?
আমাদের দুই-তিন দিনের শুটিং বাকি আছে।
তা ছাড়া তড়িঘড়ি করে একটা ভালো ছবি নষ্ট করার মানে হয় না। কোরবানির ঈদ মানে হাতে অন্তত তিন মাস সময় আছে। এই সময়টায় খুব সুন্দরভাবে পোস্ট প্রডাকশনের কাজ গুছিয়ে নেওয়া যাবে। পরিচালক সানী সানোয়ার ভাইয়ের সিদ্ধান্তটা আমার ভালো লেগেছে। একটা কাজ গুছিয়ে করলে অবশ্যই ভালো ফল পাওয়া যায়।
সাধারণত কোরবানির ঈদে অ্যাকশন ঘরানার ছবি মুক্তি পায়। ‘এশা মার্ডার—কর্মফল’ তো থ্রিলার ঘরানার। অভিনেত্রী হিসেবে কী মনে করছেন?
আমি আসলে ঈদের ছবি নিয়ে কখনো অ্যানালিসিস করিনি। এখন পর্যন্ত আমার একটি মাত্র ছবি হলে মুক্তি পেয়েছে—‘রেহানা মরিয়ম নূর’। সেটা দিয়ে তো ঈদের ছবির বাজারটা বুঝতে পারব না। তবে আমার আত্মবিশ্বাস আছে। নিঃসন্দেহে বলতে পারি, ভালো একটা কাজ করেছি। তা ছাড়া একটা দর্শক শ্রেণিও তৈরি হয়েছে আমার। তাঁরা সব সময় অপেক্ষায় থাকেন নতুন কাজের। ঈদে সব ধরনের ছবিই মুক্তি পাবে। অ্যাকশন, সামাজিক, রোমান্টিক, থ্রিলার—এখান থেকে দর্শক মানসম্পন্ন ছবিই তো দেখবেন।
বেঙ্গালুরু চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েও যেতে পারেননি। কারণ কী?
ভিসা জটিলতায়। নিয়ম মেনে আবেদন করেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিসা পাইনি। উৎসবটি ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত হয়েছে। শেষ দিন পর্যন্ত আয়োজকরা আমার জন্য বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং রেখেছিল। কিন্তু ভিসা না হওয়ায় যেতে পারলাম না। আশা করছি খুব শিগগির সব ঠিক হয়ে যাবে। কারণ ভারতের আরো দুটি ছবি হাতে আছে—একটি হিন্দি, আরেকটি বাংলা ছবির শুটিং শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যে। এ জন্য আবার ভিসার আবেদন করব। তখন নিশ্চয়ই ভিসা পাব এবং এবার কেন পাইনি সেটাও জানতে পারব।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের বিভিন্ন লোকেশনে দেখা গেছে আপনাকে। নিশ্চয় নতুন কিছু করছেন?
আরেকটা ছবির শুটিং করছি। এর মধ্যে বেশির ভাগ অংশের শুটিং শেষ হয়েছে। বাকিটুকু ঈদের পর পর শেষ হবে। ছবিটি সম্পর্কে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। ঈদের পর শুটিং শেষ হলে সবাইকে জানাবেন নির্মাতা।
রোজার ঈদে দর্শকরা আপনার কাছ থেকে কী পাচ্ছেন?
এবার কিছু দিতে পারছি না। আসলে ‘এশা মার্ডার—কর্মফল’ আর নতুন ছবিটার শুটিং নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্য কিছু করতে পারিনি। ঈদ শেষ হতেই আবার ভারতের ছবি দুটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ব। ফলে দর্শকদের কোরবানির ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন