মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে মৌলভীবাজার কারাগারের অফিস প্রাঙ্গনে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার হাজতীর সাথে একই মামলার ভিকটিমের বিয়ে হয়েছে। বিয়েতে দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট, জেল সুপার, পুরহিত ও গণমাধ্যমকর্মীরা। আলোচিত এই বিয়ের সংবাদ এলাকায় জানাজানি হলে বিষয়টি চলে আসে জেলাবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মৌলভীবাজার নির্বাহী ম্যাজিস্টেট শাওন মজুমদার সুমন জানান, মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলার ইন্দানগর চা বাগানের সদানন্দ বাউরীর ছেলে আশিষ বাউরী ও একই বাগানের মনিষ মালের মেয়ে কুঞ্জ মালের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। কিন্তু আশিষ বাউরীর পরিবার তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় তারা বিয়ে পর্যন্ত যেতে পারেন নি। এরই মধ্যে তাদের বিবাহ পূর্ব মেলা মেশায় কুঞ্জ মাল গর্ভবতি হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে আশিষ বাউরীর পরিবার কুঞ্জ মালকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দেয়। একসময় আশিষ বাউরীও বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে কুঞ্জ মাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে আদালত আশিষ বাউরীর জামিন না মঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণ করেন। ভিকটিম কুঞ্জ মালে জানান, মামলায় বিচারাধীন অবস্থায় তিনমাস আগে তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এদিকে বিষয়টি মহামান্য হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ালে উভয় পক্ষ আপোসের সিদ্ধান্ত নেন এবং হাইকোর্ট বৈধ ভাবে বিবাহ সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখিয়ে জামিন নেয়ার নির্দেশ দেন। মৌলভীবাজার জেলা কারাগারর্এ জেল সুপার, মো. মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে বুধবার ২০ মার্চ জেলা কারাগার প্রাঙ্গনে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে সনাতন ধর্মমতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। তবে বিয়ের পর ছেলের মা বাবা তাদের পুত্রবধূ ও নাতনিকে বাড়ি নিয়ে গেলেও আসামি আশিষ বাউরীকে পুনরায় কারাগারে যেতে হয়েছে। ছেলে পক্ষের আইজীবি জানান, এখন তার জামিন না হওয়ায় পুনরায় বরকে জেল হাজতে যেতে হয়েছে। তিনি জানান, আইনি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং হাইকোর্টে বিয়ের প্রমাণ দাখিল করার পর তার মুক্তি পাওয়ার কথা। এদিকে ভিকটিম কুঞ্জ মালের ভাই জানান, এই ঘটনার মধ্যদিয়ে একটি শিশু পেলো তার মা ও বাবাকে। একই সাথে উভয় পরিবারের মধ্যে একটি নতুন সম্পর্ক হলো। তিনি বলেন আমার বোন তার সন্তান নিয়ে স্বামীর ঘরে সূখে থাকলেই তাদের শান্তি।
জিবি নিউজ ডেস্ক :-
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন