ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল বা হামাস কেউই গাজা শাসন করবে না। এ ক্ষেত্রে একটি ‘বিকল্প’ খুঁজে বের করতে হবে। রয়টার্স বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।
গ্যালান্ট প্রতিরক্ষাসচিব অস্টিনসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন।
বৈঠকের পর একটি পোস্টে অস্টিন জানিয়েছেন, তারা রাফায় সামরিক অভিযান, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, গাজাজুড়ে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার হুমকি নিয়ে আলোচনা করছেন।
এদিকে আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে একজন সংবাদদাতা বলেছেন, রমজান মাসে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রাফাহ শহরের খিরবেত আল-আদাস এবং আল-শাওত এলাকায় দুটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলের বোমা হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের পশ্চিমে নাসের হাসপাতালের চারপাশে হামলা চালিয়েছে।
সেখানে হাসপাতালের কর্মী এবং কম্পাউন্ডের ভেতরে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত লোকদের গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি বাহিনী।
উত্তর গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের আশপাশেও ভয়ংকর সংঘর্ষ চলছে। ইসরায়েলি গোলাবর্ষণসহ লোকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপও বাড়ছে, তবুও তারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইরান সফরের সময় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ বলেছেন, ‘ইসরায়েল রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা অনুভব করছে। কারণ ইসরায়েল এখন রাজনৈতিক আবরণ এবং সুরক্ষা হারাচ্ছে, যেমনটি আমরা গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের জারি করা প্রস্তাবের সময় দেখেছি।’ ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩২ হাজার ৪১৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৪ হাজার ৭৮ জন আহত হয়েছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন