জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
কুয়াশার বুক চিরে ভোরের সূর্যোদয়। বিকেলের নীল আকাশের ক্যানভাসে থোকা থোকা সাদা মেঘের ভেলা। সিলেটে গত কয়েকদিন থেকে এমন দৃশ্য যেন শুনাচ্ছে শীতের পদধ্বনি। সিলেটে এমন ভোর আর সন্ধ্যার ঠিক আগের আকাশ যেন বলছে- শীত আর বেশি দূরে নেই।
গত কয়েকদিন ধরে সিলেটে সূর্যোদয়ের আগ থেকে না হলেও রাত ৯-১০ টা থেকে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। আর ফজরের সময় থাকছে মোটামুটি ঘন কুয়াশা। সঙ্গে থাকছে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ। পৌষ ও মাঘ মাস আসতে এখনও মাসাধিক সময় বাকি থাকলেও দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সিলেটে বেড়ে চলছে শীতের অনুভূতি।
নগরজীবনে অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিন থেকে শীতের আগমনি বার্তা ভালোই ঠের পাচ্ছেন সিলেটের গ্রামাঞ্চলের মানুষ। দক্ষিণ সুরমার আব্দুল কুদ্দুস নামের এক কৃষক সিলেটভিউ-কে জানালেন, ৩-৪ দিন আগেও রাতে বৈদ্যুতিক পাখা ছেড়ে ঘুমাতে হতো। তবে এশার নামজের পর থেকে কিছুটা শীত শীত অনুভূতি হয়। আর ফজরের সময়তো রীতিমতো একটু মোটা কাপড় পরতে হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে একটু বেশিই শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানালেন শহরতলির বাসিন্দা ও সিলেটের শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত এক ফটো সাংবাদিক। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে নগরীর আম্বরখানা পাড়ি দিয়ে এয়ারপোর্ট রোডে গেলেই বেশ ঠান্ডা বাতাস অনুভূত হয়।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে গতবারের মতো এবারও তীব্র শীত পড়বে।
তাজকিয়া শারমিন নামের এক গৃহিনী জানান, এই কয়দিন বুঝতে না পারলেও আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে পানি ব্যবহারের সময় ঠান্ডা শিরশিরে অনুভূতি হচ্ছে। মনে হচ্ছে শীত এসেই গেছে।
শীতের আগমন বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। এ কারণে তৈরি হয় প্রচুর জলীয় বাষ্প। এই জলীয় বাষ্প থেকে সৃষ্টি হওয়া মেঘমালা বাংলাদেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এ কারণে সিলেটসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে দু-তিনদিন বৃষ্টি হয়েছে।
এই বৃষ্টির কারণে ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সিলেটে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। যেহেতু দিনের ব্যাপ্তি কমে এসেছে, তাই একটা শীত শীত ভাব শুরু হয়েছে। তবে এটিকে শীতকাল বলা যাবে না, বরং শীতের পদধ্বনি বলা যাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন