মাদাগাস্কারে ‘অপ্রত্যাশিত’ ঘূর্ণিঝড় গামানের আঘাতে নিহত ১১

অপ্রত্যাশিতভাবে মাদাগাস্কারের দিকে মোড় নেওয়া একটি ধীরগতির ঘূর্ণিঝড়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বীপ দেশটিতে প্রবল বাতাসে গাছ ভেঙে পড়েছে, গ্রামের মধ্য দিয়ে পানির স্রোত প্রবাহিত হয়েছে এবং বাড়িঘর ভেসে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয় বিএনজিআরসি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে জানায়, ঘূর্ণিঝড় গামানে দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব দিকে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপটি থেকে সরে যাবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। কিন্তু এটি গতিপথ পরিবর্তন করে বুধবার উত্তরে আঘাত হানে।

 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ি ধসে বা গাছ পড়ে ছয়জন এবং এবং অন্য পাঁচজন ডুবে মারা গেছে। এ ছাড়া দ্বীপের প্রায় সাত হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ধীরগতিতে অতিক্রম করায় ধ্বংসাত্মক প্রভাব বেশি ছিল।

ভিডিও চিত্রগুলোতে দেখা যায়, গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে পানির স্রোত বয়ে চলেছে এবং লোকেরা কোমর সমান পানিতে বাড়িতে আটকে পড়াদের বাঁচতে সাহায্যের চেষ্টা করছে।

এ ছাড়া অসংখ্য রুট ও সেতু প্লাবিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

 

বিএনআরজিসির মহাপরিচালক জেনারেল ইলাক আন্দ্রিয়াকাজা বলেন, ‘এ রকম ঘূর্ণিঝড় হওয়া বিরল। এর গতিবিধি প্রায় স্থির ছিল। যখন এটি এক জায়গায় থেমে যায়, তখন এটি সব অবকাঠামোকে ধ্বংস করে দেয়।

এটি জনসংখ্যার জন্য গুরুতর পরিণতি এবং উল্লেখযোগ্য বন্যা বয়ে আনে।’

 

তিনি আরো বলেন, নিম্নচাপটি ‘মাদাগাস্কারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে চারণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা এবং এর গতিপথের পরিবর্তন হয়েছে’। স্থানীয় সময় বুধবার সকাল পৌনে ৬টায় ‘এটি অবশেষে ভোহেমার জেলায় আঘাত হানে’।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় গামানেকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় হিসেবে পুনরায় শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে এবং এটি স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

 

ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং প্রতিবছর সেখানে প্রায় এক ডজন ঝড় দেখা যায়।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন