সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২

সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৩৮ সরকারি সেনা, লেবাননের সামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাত সদস্য এবং ইরানপন্থী সাত যোদ্ধা রয়েছে। শুক্রবারের হামলাটি একটি বিস্তৃত আঞ্চলিক উত্তেজনার উদ্বেগকে উসকে দিয়েছে। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পো বিমানবন্দরের কাছে লেবাননের হিজবুল্লাহর একটি রকেটের গুদামকে লক্ষ্য করা হয়েছে।

এটি সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত বাহিনীর ওপর সর্বশেষ মারাত্মক হামলা। ২০১১ সালের সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারকে হিজবুল্লাহ সমর্থন দিয়ে আসছে।

 

৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হিজবুল্লাহর মিত্র ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলা বেড়েছে। আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলি হামলাও নিয়মিতভাবে লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করছে।

 

যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলায় ৩৮ সিরীয় সেনা, সাত হিজবুল্লাহ সদস্য এবং সাত সিরীয় ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এর আগে তারা মোট ৪৪ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল।

সিরিয়ার একটি সূত্রের নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে সংস্থাটি আরো বলেছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় সিরীয় সেনা নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

ইসরায়েল খুব কমই এ রকম হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে।

তারা সিরিয়ায় অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। কিন্তু ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা লেবাননে হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের উপপ্রধান আলী নাইমকে হত্যা করেছে, যার মৃত্যু ইরান সমর্থিত গ্রুপটিও নিশ্চিত করেছে।

 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, তাঁর দেশের সেনাবাহিনী সর্বত্র হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে। লেবানন থেকে আসা প্রতিটি আক্রমণের মূল্য দিতে বাধ্য করা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের একটি শক্তিশালী অস্ত্রাগারের অধিকারী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।

দক্ষিণ ইসরায়েলে অক্টোবরে হামাসের অভূতপূর্ব হামলার পর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। তার পর থেকেই হিজবুল্লাহ সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।

 

ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট অ্যান্ড গাল্ফ মিলিটারি অ্যানালাইসিসের প্রধান রিয়াদ কাহওয়াজি বলেন, ‘ইসরায়েলের দৃষ্টিকোণ থেকে সিরিয়া ও লেবানন এক বর্ধিত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।’

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন