গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত এবং আরো ১৭ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস এক্স (সাবেক টুইটার)-পোস্টে এ তথ্য জানান। টেড্রোস লিখেছেন, আল-আকসা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দলের সামনে ঘটেছে। দলটিকে গাজার উত্তরের জন্য ইনকিউবেটর সংগ্রহ করতে পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হাসপাতালের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান লিখেছেন, ‘ডাব্লিউএইচওর একটি দল গাজার আল-আকসা হাসপাতালে মানবিক মিশনে ছিল, তখন হাসপাতাল চত্বরের ভেতরে একটি শিবিরে আজ ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে।’ তিনি ভুক্তভোগীদের সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি।
এদিকে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করা একটি বার্তায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ‘তাদের বিমান একটি অপারেশনাল ইসলামিক জিহাদ কমান্ড সেন্টার এবং দেইর আল বালাহ এলাকায় আল-আকসা হাসপাতালের উঠানে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
’ সেখানে আরো বলা হয়, ‘সুনির্দিষ্ট হামলার পর আল-আকসা হাসপাতাল ভবনের কোনো ক্ষতি হয়নি এবং হাসপাতালের কর্মকাণ্ডের ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি।
টেড্রোস রোগী, চিকিৎসক এবং সাহায্যকর্মীদের সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং হাসপাতালের ওপর হামলা বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আবার হাসপাতালের রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং মানবিক মিশনের সুরক্ষার আহ্বান জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালের চলমান হামলা ও অভিযান বন্ধ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।’
টেড্রোস যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে চলার জন্য সংঘাতে লিপ্ত সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন। গাজা উপত্যকায় ১০টি হাসপাতাল এখন খুব সামান্য কাজ চালিয়ে যেতে পারছে। যুদ্ধ শুরুর আগে ৩৬টি হাসপাতাল সেখানে ছিল বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। বিমান হামলার পাশাপাশি এই অঞ্চলের হাসপাতাল এবং আশেপাশের এলাকায় প্রচণ্ড স্থল যুদ্ধ চলছে।
যেখানে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা অনেক গাজাবাসী ভবনের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন