ইসরায়েলে দোহাভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা সম্প্রচারে শীর্ষ মন্ত্রীদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতাসংক্রান্ত একটি বিল দেশটির আইন প্রণেতারা সোমবার বিবেচনা করছেন।
ইসরায়েল জানুয়ারিতে দাবি করেছিল, গাজায় বিমান হামলায় নিহত আলজাজিরার একজন নিজস্ব সাংবাদিক এবং একজন ফ্রিল্যান্সার ‘সন্ত্রাসী’ ছিলেন। পরের মাসে তারা বলে, একটি পৃথক হামলায় আহত চ্যানেলটির আরেক সাংবাদিক হামাসের একজন ‘ডেপুটি কম্পানি কমান্ডার’। ইসরায়েলি সেনারা অক্টোবর থেকে গাজায় ইসলামপন্থী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
এদিকে আলজাজিরা তীব্রভাবে ইসরায়েলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং গাজায় তাদের কর্মীদের পরিকল্পিতভাবে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য দেশটিকে অভিযুক্ত করেছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আইনটি পাস হলে ইসরায়েলে আলজাজিরা বন্ধ করার জন্য ‘অবিলম্বে পদক্ষেপ’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করে বলে বিবেচিত বিদেশি গণমাধ্যম বন্ধের জন্য কর্মকর্তাদের অনুমতি দেওয়ার বিলটি ইতিমধ্যে গত মাসে প্রথম সংসদীয় বাধা পাস করেছে। নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি বলেছে, তিনি ইসরায়েলের সংসদে ‘আলজাজিরা বন্ধ করার আইনটি আজ সন্ধ্যায় অনুমোদিত হবে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন’।
ডিসেম্বরে এক ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আলজাজিরার ব্যুরো চিফ ওয়ায়েল আল-দাহদুহ আহত হয়েছিলেন। ওই হামলায় আলজাজিরা নেটওয়ার্কের এক ক্যামেরাম্যান নিহত হন।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আন্তঃসীমান্ত হামলা চালালে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ১৬০ জন নিহত হয়েছিল, যার অধিকাংশই বেসামরিক।
অন্যদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অভিযানে অন্তত ৩২ হাজার ৮৪৫ জন নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এদিকে জেরুজালেমে ইসরায়েলি সংসদ ভবনের বাইরে রবিবার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। এ দিন বিক্ষোভকারীরা সরকারের কাছে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে, যা হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্ত করবে। পাশাপাশি তারা আগাম নির্বাচনের আহ্বানও জানায়।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন