১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে নস্যাৎ হয়ে যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করে ২০ দলীয় জোট শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা ও মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সংঘটিত হয়েছিল সিপাহী-জনতার এক ঐতিহাসিক বিপ্লব। সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব দেশের তৎকালীন রাজনীতি গতিধারাই পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে সিক্ত করেছিল। আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
নেতৃদ্বয় বলেন, ওই বছরের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান, পাল্টা সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহী-জনতার মিলিত ঐক্যের অভ্যুত্থান দেশ ও জাতিকে অনাকাক্সিক্ষত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। এদিন সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে।
তারা বলেন, যে মৌলিক আদর্শ ও চেতনার ভিত্তিতে ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল আজ তার প্রতিটি স্তম্ভকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। ৭ই নভেম্বরের চেতনার মূল নায়ক জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। মহান সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, জাতীয় মর্যাদার প্রতিষ্ঠাতাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার পায়তারা চালাচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, জনকল্যাণের লক্ষ্যে যারা সমাজ পরিবর্তনের উদ্যোগী, জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখতে আগ্রহী, তাদের কাছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নতুন করে উৎসাহ যোগাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন