অপরাধমূলকভাবে বিশ্বাস ভাঙা ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের জামিন বাতিল করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালত জামিন বাতিল করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া হৃদয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতারণার মামলায় আপসের শর্তে জামিন পেয়েছিলেন রাসেল। শর্ত না মানায় তাঁর জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত মোহাম্মদ রাসেলের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’
এ মামলায় শুরু থেকেই পলাতক আছেন ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে বলে জানান এই আইনজীবী।
বিদেশি শিশু পণ্য প্রসাধন, খেলনাসহ শিশুসামগ্রী আমদানি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থ্রি এস করপোরেশনের সঙ্গে ২০২১ সালের ৬ মার্চ চুক্তি করে ইভ্যালি।
চুক্তির শর্ত অনুসারে ইভ্যালির অনলাইন প্ল্যাটফরমে পণ্যের ক্রয়াদেশ নেওয়া হবে। সে পণ্য সরবরাহ করবে থ্রি এস করপোরেশন। আর থ্রি এস করপোরেশনকে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করবে ইভ্যালি।
চুক্তির পর ওই বছর ৫ জুন পর্যন্ত থ্রি এস করপোরেশন ৮০ লাখ ৪৫ হাজার ৪০ টাকার পণ্য সরবরাহ করলেও ইভ্যালি পরিশোধ করে ৫০ লাখ টাকা।
ইভ্যালির কাছে আরো ৩০ লাখ ৪৫ হাজার ৪০ টাকা পাওনা দাবি করে বারবার তাগাদা দিলেও ইভ্যালি পাওনা পরিশোধ করেনি। ফলে পাওনা পরিশোধ করতে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি ইভ্যালিকে আইনি নোটিশ পাঠায় থ্রি এস করপোরেশন। তার পরও কাজ না হওয়ায় গত বছর ১৬ এপ্রিল থ্রি এস করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২৯ ও ৫০৬ ধারায় অপরাধমূলকভাবে বিশ্বাস ভঙ্গ, প্রতারণা ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়। রাসেল ছাড়াও মামলায় ইভ্যালি ডটকমের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন, হেড অব কমার্শিয়াল সাজ্জাদ আলমকে আসামি করা হয়।
মামলা অভিযোগ আপসে মীমাংসা করবেন, এমন শর্তে গত বছর ২৬ অক্টোবর জামিন নেন রাসেল। কিন্তু সে শর্ত না মানায় রাসেলের জামিন বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদন করেন বাদী। সে আবেদনে শুনানির পর রাসেলের জামিন বাতিল করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন