রাজনৈতিক সহিংসতায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করেপারেশনের (বিআরটিসি) ১০টি বাস পুড়েছে। এ ছাড়া ২০২১ ও ২০২২ সালে দুটি করে বাস পুড়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে সাতটি বাস ভাঙচুর করা হয়। এই তিন বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় আর্থিক ক্ষতি হয় ২০ লাখ ১৫ হাজার ৭৬০ টাকা।
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকে উপস্থাপিত বিআরটিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বিআরটিসির তথ্য অনুযায়ী সচল বাস এক হাজার ২১৭টি। মেরামতে রয়েছে ১৭৪টি এবং নিলামে বিক্রয় বাসের সংখ্যা ২৫২।
বিআরটিসির এক-তৃতীয়াংশের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
করপোরেশনের বিভিন্ন পদে পাঁচ হাজার ৮৯৩টি পদের বিপরীতে কর্মরত তিন হাজার ৭২৯ জন। বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা দুই হাজার ১৬৪টি।
অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিআরটিসির অনুমোদিত পদ ছয় হাজার ৫১৭টি হলেও গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে ৬২৪টি পদ বিলুপ্ত হয়েছে। বিআরটিসিতে বর্তমানে প্রথম শ্রেণির ১২৪টি পদের মধ্যে কর্মরত ৮১ জন, শূন্যপদ ৪৩টি; দ্বিতীয় শ্রেণির ৬৪টি পদের মধ্যে কর্মরত ৪৪ জন, শূন্যপদ ২০টি; তৃতীয় শ্রেণির পাঁচ হাজার ১৫৯টি পদের মধ্যে কর্মরত তিন হাজার ৪৪৬ জন, শূন্যপদ এক হাজার ৭১৩টি এবং চতুর্থ শ্রেণির ৫৪৬টি পদের মধ্যে কর্মরত ১৫৮ জন, শূন্যপদ ৩৮৮টি।
বিআরটিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৮৭ সালে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৭৫ হাজার। বর্তমানে (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত) রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরযানের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৯০ হাজার ৯০৪।
বৈঠকে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়কপথে ঘরমুখী মানুষের বাড়ি যাওয়া ও ফেরত আসা নির্বিঘ্ন করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ওবায়দুল কাদের, মো. আবু জাহির, সেখ সালাহউদ্দিন, মো. মুজিবুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ও মো. নাছিমা জামান ববি।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন