এর আগে বাংলাদেশে আসা হলেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে এবারই প্রথম এসেছিল অস্ট্রেলিয়া নারী দল। দুর্দান্ত ক্রিকেটে মাঠের খেলায় দারুণ সময় কেটেছে সফরকারী মেয়েদের। মাঠের বাইরের সময়টাও অ্যালিসা হিলিরা মনে রাখবেন। মনে রাখার কথা বিদায়বেলায় অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক নিজেই জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের আতিথেয়তায় যেমন মুগ্ধ হিলি তেমনি ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারাও উপভোগ করেছেন তিনি। দুই দলের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক সিরিজ। সুযোগটা মাঠের ক্রিকেটে খুব একটা কাজে লাগাতে না পারলেও মাঠের বাইরে সংস্কৃতি বিনিময়ের চেষ্টা ছিল বিসিবির। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি স্থানীয় খাবারের সঙ্গে হিলিদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
ঢাকাই জামদানি শাড়িও উপহার দিয়েছেন নিগার।
বিসিবির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণার সৌজন্যে বিষয়গুলো নিশ্চিতভাবেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে পৌঁছেছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। আজ শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হিলি বলছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশের ইতিহাস জানাটা খুব উপভোগ করেছি, সম্ভবত এটা নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলাম না।
গতকালও হাইকমিশনার কারো কারো সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল, খুবই ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেয়েছি, আকর্ষণীয় গল্প জেনেছি। এই দিক থেকে আমি শিক্ষিত হয়েছি এবং বছরের শেষ দিকে ফেরার সময় আরো কিছু প্রশ্ন নিয়ে আসব।’
বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে বসবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে। তখন আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন হিলি। তার আগে বাংলাদেশের আতিথেয়তা নিয়েও প্রশংসা করে গেলেন অজি অধিনায়ক, ‘এখানে আমরা যে আতিথেয়তা পেয়েছি, তা ছিল অসাধারণ।
মাঠে ও হোটেলে আমাদের যথেষ্ট খাতির করা হয়েছে। প্রতিদিন আমরা কিছু না কিছু আবিষ্কার করতে পেরেছি, যা আমাদের সময়টাকে নীরস করেনি। প্রতি সকালে হোটেল থেকে আমরা দারুণ অভ্যর্থনা পেতাম। এখানে আসতে পেরে ভাগ্যবান ও খুশি। আমাদের খুব খাতির-যত্ন করা হয়েছে। ধন্যবাদ।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন