আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে টিএনটি (বিটিসিএল) ভবনের সামনের কয়েক লাখ টাকা মুল্যের ১০ টি বড় গাছ কর্তৃপক্ষের কোন রকমের অনুমতি ছাড়াই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের হাজী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আকছির মিয়ার বিরুদ্ধে।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন রকম দরপত্র আহ্বান না করেই স্থানীয় এক ব্যক্তির নিকট গাছ গুলো বিক্রি করে দেয়ায় এলাকার সচেতন মহলের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তবে ওই শিক্ষক গাছ বিক্রির বিষয়টি অভিযোগ অস্বীকার করলেও জেলা বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজমিরীগঞ্জ থানাকে চিঠি লিখবেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের টিএনটি (বিএটিসিএল) এর পরিত্যক্ত পুরাতন ভবনের সামনে একটি কদম ও ৯টি আকাশমণি জাতের বড় আকৃতির গাছ হাজী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আকছির মিয়া স্থানীয় মুসা মিয়ার নিকট ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। এরপর মুসা মিয়া গাছ গুলো কিছু টাকা মুনাফার বিনিময়ে বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী মো. আসাদুজ্জামান ওরফে হুমায়ুন মিয়ার নিকট বিক্রি করে দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, টিএন্ডটি ভবনের সামনে সদ্য কাটা গাছ গুলোর গোঁড়া পড়ে রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় বাজারের একটি করাতমিলের সামনে গাছ গুলো কেটে মজুদ করে রাখা হয়েছে।
মো. আসাদুজ্জামান ওরফে হুমায়ুন মিয়া বলেন, হাজ্বী আব্দুল হেকিম ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আকছির মিয়ার নিকট থেকে মুসা মিয়া গাছ গুলো ক্রয় করেছিলেন বলে জানতে পারি। তারপর আমি মুসা মিয়ার নিকট থেকে এগুলো ক্রয় করেছি।
কাকাইলছেও টিএনটি (বিএটিসিএল) এর পরিত্যক্ত ভবনে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী হেলেনা আক্তার জানান, প্রায় দিনদশেক পূর্বে মুসা মিয়া নামের এক ব্যক্তি এই গাছগুলি কেটে নিয়ে যান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, ভবনের পার্শ্ববর্তী হাজী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো.আকছির মিয়া ওই গাছগুলি বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে মুসা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও উনাকে পাওয়া যায়নি। উনার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে উনার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
হাজী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মো. আকছির মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে গাছ বিক্রির অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
হবিগঞ্জ জেলা বিটিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক শিরীষ চন্দ্র দাস বলেন, আকছির মিয়া নামে এক শিক্ষক ওই গাছগুলি বিক্রি করেছেন বলে আমাদের স্থানীয় দপ্তর কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ঈদের ছুটির পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে আজমিরীগঞ্জ থানাকে অবগত করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন