অবশেষে আইনি বিচ্ছেদের পথে ধানুশ-ঐশ্বরিয়া

গত দুই বছর ধরে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর এবারে সত্যিই পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন দক্ষিণী তারকা ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। দম্পতির ঘনিষ্ঠ সূত্র ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছে, তারা ১৩-বি ধারার অধীনে পিটিশন দাখিল করেছেন। পারস্পরিক সম্মতিতে আইনিভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হবে বলে জানা গেছে। 

২০২২ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতির মাধ্যমে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান ধানুশ-ঐশ্বরিয়া।

ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল- ১৮ বছরের একসঙ্গে থাকা। বন্ধু, দম্পতি এবং অভিভাবক হিসেবে। একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে। এই যাত্রা শুধুমাত্র একে অপরকে সঙ্গ দেওয়ার, বোঝার।

একে অপরের জন্য নিজেদেরকে ছোট ছোট বিষয়ে পরিবর্তন আনা। কিন্তু আজ এই মুহূর্তে আমরা দুজনে এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে আমাদের একসঙ্গে চলার পথ আলাদা হয়ে গেছে। তাই ঐশ্বরিয়া এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দম্পতি হিসেবে আলাদা পথে হাঁটব। স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের চেনার জন্য সময় নেব।

দয়া করে আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরে থাকতে দিন। এই মুহূর্তে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে আমাদের।

 

1

 ধানুশ-ঐশ্বরিয়া

২০০৪ সালে জমকালো আয়োজনে দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে করেন ধানুশ। তবে ১৮ বছরের মাথাতেই বিচ্ছেদের সুর বেজে ওঠে তাদের সংসারে। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর থেকেই আলাদা থাকছিলেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া।

পরে অবশ্য পারিবারিক হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। সেসময় অনেকেরই ধারণা ছিল- হয়তো ভুল-বোঝাবুঝি, মান-অভিমান মিটিয়ে নিয়ে ফের এক হবেন তারা! তবে তেমনটা ঘটছে না। অবশেষে আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন তারা।

 

তবে বিচ্ছেদের বেদনায় কাতর হননি কেউই। নিজ নিজ কাজে মন দিয়েছেন উভয়েই। বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণার পর ‘লাল সালাম’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক করেছেন ঐশ্বরিয়া। সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁর বাবা রজনীকান্ত। অন্যদিকে সর্বশেষ ‘ক্যাপ্টেন মিলার’ সিনেমায় দেখা গেছে ধানুশকে। এরপর দক্ষিণী সংগীত পরিচালক ইলাইয়ারাজার বায়োপিকে অভিনয় করবেন তিনি।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন