পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসতে এতদিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন— এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যারা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের এখানে আনার জন্য স্পনসর হতে চান, তাদের বাৎসরিক উপার্জন কমপক্ষে ২৯ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৯ লাখ ৮৪ হাজার ১০০ টাকা) হতে হবে। আগে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৬০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৯ টাকা)।
অর্থাৎ শতকরা হিসেবে অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ৫৫ শতাংশ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী বছর ২০২৫ সালে এই অঙ্ক ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ডে (বাংলাদেশি তাপমাত্রায় ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৭১২ টাকা) উন্নীত করা হবে।
‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
এর আগে গত ২০২৩ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় কড়াকড়ি আরোপ করেছিল ব্রিটেনের সরকার।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে ‘বন্যার মতো’ প্রবেশ করছেন এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। অনেকেই শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন, তারপর একসময় নাগরিকত্ব অর্জন করেন এবং নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসার প্রচেষ্টা শুরু করেন।
অভিবাসীদের আগমন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছিল কনজারভেটিভ পার্টি। কিন্তু করোনা মহামারি ও অন্যান্য কারণে প্রথম কয়েক বছরের ব্যর্থতার পর ২০২৩ সাল থেকে এ ইস্যুতে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন সরকার।
বৃহস্পতিবার সরকারি বিবৃতি প্রকাশের পর পৃথক এক বিবৃতিতে জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘অভিবাসন ইস্যুতে আমরা চরমসীমায় পৌঁছে গেছি। এমন কোনো সমস্যা আমরা দীর্ঘদিন চলতে দিতে পারি না, যা যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জীবনযাত্রা ও কর্মসংস্থানকে সংকটের মুখে ফেলতে পারে। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের কঠোর হতে হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন