জিবি নিউজ24ডেস্ক//
বাংলা নববষর্কে-১৪৩১ স্বাগত জানিয়ে নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সময় পুরো এলাকায় ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রাকে ঘিরে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত থেকেই টিএসসিসহ পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সবখানে মোতায়েন ছিল ডিএমপির বিপুলসংখ্যক সদস্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পহেলা বৈশাখের উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। আজ রবিবার সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ মোড় ঘুরে রমনা টেনিস কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে শিশুপার্কের মোড় ঘুরে আবার শাহবাগ দিয়ে টিএসসি চত্বর ঘুরে চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয় বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদসহ বিশিষ্ট অতিথিগণ।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে ‘আমরা তো তিমির বিনাশী’। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাংলার লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপকরণ, গ্রামীণ জীবনের অনুষঙ্গ, পশুপাখি, ফুল প্রতীক ও রকমারি মুখোশ বহন করা হয়। এবারও বড় আকারের চাকা, পাখি, ফুল, হাতি ও বনরুইয়ের প্রতীক ছিল। আর ছিল বড় আকারের রাজা-রানী ও হাতে বহন করার জন্য ছোট আকারের প্যাঁচা, মাছ, পাখির শতাধিক মুখোশ।
পুরুষদের নানা রঙের পাঞ্জাবি আর নারীদের শাড়িতে শোভাযাত্রা আরও রঙিন হয়ে ওঠে।
শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল ডিএমপির কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুরুতে ছিলো সোয়াটের সদস্যরা। এরপর ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। একাধিক ড্রোন উড়িয়ে ও ওয়াচ টাওয়ার থেকেও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল পুরো এলাকা।
শোভাযাত্রার শেষ অংশেও ছিল ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের সরব উপস্থিতি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন