ঈদে অক্ষয় কুমারের ‘বাড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’র সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগনের ‘ময়দান।’ ঈদের লড়াইয়ে বক্স অফিসে অক্ষয়ের সামনে তেমন সুবিধা করতে পারছে না অজয়ের সিনেমাটি। তবে বক্স অফিসের হিসাব যাই হোক, দর্শক সমালোচকদের প্রশংসা পাচ্ছে অজয়ের ময়দান। বিপরীতে অক্ষয়ের সিনেমা ঘিরে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এবার ময়দানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীও।
ময়দান বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি চলচ্চিত্র। স্বাধীনতার ৫ বছর পর ১৯৫২ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পায় ভারতীয় ফুটবল দল। সেই বছর সামার অলিম্পিক হয় ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে।
ভারতের বিরুদ্ধে ময়দানে নাম হাঙ্গেরি। ম্যাচের দিন তুমুল বৃষ্টি। ভিজে যায় পুরো ময়দান। কাদা মাঠে হাঙ্গেরির ফুটবলারদের পায়ে স্পাইক জুতো।
আর উল্টো দিকে খালি পায়ে মাঠে ভারতীয় ফুটবলাররা। কী হবে সেই খেলার? এই সত্যি গল্পই ফুটে উঠেছে বড়পর্দায়।
কিংবদন্তী রহিম সাহেবের ভূমিকায় অজয় দেবগনকে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বাইশ গজের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলী। যে কোনও স্পোর্টস ড্রামা নিয়েই ‘দাদা’র রিভিউ বরাবর নজরে থাকে। এবার বনি কাপুর প্রযোজিত ‘ময়দান’ দেখে প্রশংসায় ভাসালেন সৌরভ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ময়দান’-এর ছবি শেয়ার করে সৌরভ লিখেছেন, ‘ময়দানের সিনেম্যাটিক অভিজ্ঞতা একেবারে মিস করবেন না। ভারতের কিংবদন্তী ফুটবল কোচ সৈয়দ আবদুল রহিম এবং ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগকে যে দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে, তা দেখে আমি মুগ্ধ। আইকনিক ভারতীয় ফুটবল তারকাদের বড়পর্দায় জীবন্ত হয়ে ওঠার সাক্ষী রইলাম। এই স্পোর্টস ড্রামা মাস্ট ওয়াচ!’
১৯৫১ থেকে ১৯৬২ সালকে বলা হয় ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ। ঠিক যেই সময় পায়ে বল নিয়ে ময়দানে দৌড়ে বেড়াতেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ সৈয়দ আবদুল রহিম। সেই ঐতিহাসিক পিরিয়ডকেই সিনেমার পর্দায় কাছে তুলে ধরেছেন পরিচালক অমিত শর্মা। সে সময়ে ভারতীয় ফুটবল যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল, নিঃসন্দেহে তাঁর অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন রহিম সাহেব। আধুনিক ভারতীয় ফুটবলের রূপকার হিসেবেও তাঁর নাম উল্লেখ করা যায়।
ময়দানে অজয় দেবগন অভিনয় করছেন ভারতীয় ফুটবল কোচ সায়েদ আব্দুল রহিম ওরফে রহিম সাহেবের চরিত্রে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে ভারতে ১০ কোটির মতো আয় করতে পেরেছে সিনেমাটি। অন্যদিকে একই দিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ প্রথম দিনেই বিশ্বব্যাপী আয় তুলে নিয়েছে প্রায় ৩৬ কোটির মতো। বলাই যায়, ঈদের লড়াইয়ে অজয় বেশ পিছিয়েই আছেন অক্ষয়ের কাছ থেকে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন