ট্রাম্পের ক্ষমতা হারানোর পর জেল হতে পারে

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে ||

মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ হারানোর পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কারাগারে যেতে হতে পারে। ধর্ষণের অভিযোগসহ তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা চলমান থাকায় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাহী সুবিধার আওতায় সেগুলো ঠেকিয়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু পদ হারানোর পর এই সুবিধা আর থাকবে না। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর বলেছে, ট্রাম্প এখন যে ভোট চুরির অভিযোগ তুলছেন, তার একটি কারণ হলো জেলে যাওয়ার ভয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর হ্যারি স্যান্ডিক বলেন, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর প্রসিকিউটর ও সাক্ষীদের পক্ষে মামলা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে। ফৌজদারি মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য উচ্চতর সুরক্ষা দাবি করতেন ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদে না থাকলে এমন দাবি তিনি করতে পারবেন না। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্টের আইনজীবী দল ম্যানহাটন অ্যাটর্নি কার্যালয়ের আদালতে হাজির হওয়ার একটি আদেশ প্রত্যাহারের চেষ্টা চালায়। আট বছরের কর প্রদান নিয়ে মামলার শুনানিতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল তাকে। এ ছাড়া নিউইয়র্কের আইনজীবীরা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডোগাল ও পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ প্রদানের অভিযোগের ক্ষেত্রে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন নথি জালিয়াতি করেছে কি না। ম্যানহাটনে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ আরও একাধিক মামলাও রয়েছে। ক্ষমতা হারালে তার বিরুদ্ধে কয়েকজন নারীর যৌন নিপীড়নের মামলার পথও উন্মুক্ত হবে। তাদের মধ্যে রয়েছেন লেখক ই জিন ক্যারল। তিনি অভিযোগ করেছেন, ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝিতে ম্যানহাটনের বার্গডর্ফ গুডম্যান ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ট্রায়াল রুমে তাকে ধর্ষণ করেছেন ট্রাম্প। এই অভিযোগের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমার টাইপের না। ক্যারলের ধর্ষণের মামলায় ডিএনএ নমুনা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। সামার জারভোস নামের আরেক শিক্ষানবিশের মামলাও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তিনি অভিযোগ করেছেন, ২০০৭ সালে ট্রাম্প তাকে যৌন নিপীড়ন করেছেন। এই অভিযোগকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। সবচেয়ে বড় গুরুতর ও দ্রুত বিপদ নিয়ে আসতে পারে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা। এই মামলা ট্রাম্প দায়িত্বে থাকার সময়ের। প্রসিকিউটররা বাণিজ্যিক লেনদেন ও করের নথি চাইলেও ট্রাম্প তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। অন্তত পাঁচটি ক্ষেত্রে আদালত বলেছেন, এই অনুরোধ বৈধ। পার্সটুডে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন