ইউক্রেন মঙ্গলবার বলেছে, তারা সামরিক কর্মীসহ প্রায় ৩৭ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করেছে, যারা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃত সংখ্যা ‘আরো বেশি’ হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা। নিখোঁজদের সঠিক সংখ্যা গণনা করা কঠিন। কারণ রুশ বাহিনী এখনো দেশটির প্রায় এক পঞ্চমাংশ দখল করে আছে এবং কোনো পক্ষই নিয়মিত সামরিক হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে না।
ইউক্রেনের মানবাধিকার ন্যায়পাল দিমিত্রো লুবিনেট বলেছেন, ‘প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ বলে মনে করা হচ্ছে—শিশু, বেসামরিক ও সামরিক। এই পরিসংখ্যান আরো বেশি হতে পারে।’
তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রেড ক্রস রাশিয়ার হাতে ‘অবৈধভাবে আটক’ প্রায় এক হাজার ৭০০ জনকে চিহ্নিত করেছে। তিনি দেশটির বিরুদ্ধে ২০১৪ সাল থেকে ‘বেসামরিকদের অপহরণ’ করার অভিযোগ এনেছেন, যখন দেশের পূর্বাঞ্চলে মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে প্রথম যুদ্ধ শুরু হয়।
এ দিকে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুম করার এবং অধিকৃত এলাকা থেকে শিশুদের অপহরণ করার অভিযোগ এনেছে। তবে ক্রেমলিন সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বিশাল অংশ রাশিয়ার দখলে রয়েছে। যুদ্ধে অনেক শহরকে ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তার মার্চের প্রতিবেদনে বলেছে, রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আট হাজার জনেরও বেশিসহ কমপক্ষে ১০ হাজার ৮১০ জন নিহত হয়েছে। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত ‘অনেক বেশি’ এবং যাচাই করা কঠিন বলেও উল্লেখ করেছে তারা। কারণ স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের দখলকৃত এলাকায় প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
সামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিরল বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, যুদ্ধের প্রথম দুই বছরে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন