তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। পশ্চিমবঙ্গেও একই হাল। অসহ্য গরমে কাহিল কলকাতাবাসীও। প্রতিদিন কলকাতায় চল্লিশ ডিগ্রির উপরে থাকছে তাপমাত্রা।
এই তীব্র দাবদাহ থেকে পরিত্রাণ মেলার নামই নেই! ব্যস্ত শিডিউলে অফিস-আদালত সংসার সামলে সকলেই নাজেহাল। এমন তাপ প্রবাহে নিশ্বাস নেয়াও যেন কষ্টের! বাস্তবেই এমন এক ঘটনা ঘটে গেল সদ্য। সংবাদপাঠের মাঝেই জ্ঞান হারালেন সঞ্চালিকা লোপামুদ্রা সিনহা।
কলকাতা দূরদর্শনের সংবাদপাঠিকার পাশাপাশি তাঁর আরেকটি পরিচয় হল লোপামুদ্রা টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
‘মিঠাই’সহ একাধিক মেগাধারাবাহিকে অভিনয় করে টেলিভিশন দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নিজের সামাজিক মাধ্যমে সংবাদ পড়াকালীন অসুস্থ হওয়ার ভিডিও পোস্ট করে নিজেই জানিয়েছেন, ‘লাইভ নিউজ চলাকালীন আমার রক্তচাপ মারাত্মক কমে যায়। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’
লোপামুদ্রা বলেন, ‘সংবাদ পড়ার সময়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই আমার শরীর খারাপ লাগছিল।
মনে হচ্ছিল একটু জল খেলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেইসময়ে কোনও বাইট না আসায় জল খেতে পারিনি। শেষমেশ একটা বাইট আসলে আমি ফ্লোর ম্যানেজারকে ইশারা করে জল চাই। জলটা খাইও। তার পর আস্তে আস্তে চোখের সামনে টেলিপ্রম্পটারটা ঝাপসা হয়ে আসতে থাকে।
’
এরপরই জ্ঞান হারান লোপা মুদ্রা। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে লোপামুদ্রা এই প্রথম এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান।
লোপামুদ্রা জানান, জল নিয়ে সংবাদ পাঠ করতে বসার অভ্যাস কোনওদিনই তাঁর নেই। সেটা দশ মিনিটের হোক কিংবা আধ ঘণ্টার। তাই এদিনও নেননি। তিন নম্বর স্টোরি ছিল হিট ওয়েভের উপর। সেটা পড়ার সময়েই কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল তাঁর। সঞ্চালিকা তথা অভিনেত্রী ভেবেছিলেন পুরো সংবাদ পাঠ করা শেষ করতে পারবেন। কিন্তু আচমকাই ব্ল্যাক আউট হয়ে যান। এরপর ফ্লোরের সকলকে ছুটে এসে তাঁর চোখেমুখে জলের ছিটা দিতে দেখা যায়। মাথায়ও বাতাস করতে থাকেন সকলে। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফেরে লোপামুদ্রার। কিন্তু সেদিন তখনই বুলেটিন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজ প্রোডিউসার। পেশাদার সংবাদপাঠিকা হিসেবে ক্ষমাও চেয়ে নেন লোপামুদ্রা।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন