১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ঘটনায় মহানায়ক কর্নেল তাহের আর মেজর জিয়া ছিল বিশ্বাসঘাতক ও খলনায়ক। তাই তার মরনোত্তর ফাঁসির দাবী করেছেন জাসদ নেতৃবৃন্দ। শনিবার (৭নভেম্বর) বিকাল ৩টায় লালদীঘির পাড়স্থ জাসদ কার্যালয়ে জেলা জাসদ সভাপতি জননেতা নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থানের মহানায়ক, মহান দেশপ্রেমিক, জাতীয় বীর, মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরের কমান্ডার, মহান বিপ্লবী শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীরোত্তম-এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দরা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহের বীরউত্তম ও জাসদের নেতৃত্বে সিপাহী- জনতার অভ্যূত্থান, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যা, অবৈধ ক্ষমতা দখল ও সংবিধান লংঘন, ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার, হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামো অবসানের লক্ষ্যে সংগঠিত একটি ঐতিহাসিক মহান ঘটনা। এই ঘটনা প্রবাহে কর্ণেল আবু তাহের বীরোত্তমের নেতৃত্বে এবং জাসদের সহযোগিতায় সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছিলো। এই অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন, রাজবন্দী মুক্তি, প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কার প্রভৃতি বাস্তবায়ন কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে ঠান্ডা মাথার খুনি জিয়াউর রহমানের ষড়যন্ত্রের কারণে কর্ণেল তাহের এই অভ্যুত্থানের বিজয় ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। জেনারেল জিয়াউর রাহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করে, পরে সাজানো মামলা দিয়ে কর্ণেল আবু তাহের বীর উত্তমকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। এই সত্য আজ প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বোচ্চ আদালতের স্বীকৃত যে জেনারেল জিয়াউর রহমান ঠান্ডা মাথায় কর্ণেল আবু তাহের বীরউত্তমকে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে হত্যা করে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান কুলষিত করেছিল। তাই ঠান্ডা মাথার খুনি জিয়াউর রহমানের মরনত্তোর বিচার দাবী করেন জাসদ নেতৃবৃন্দরা। বক্তরা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পথে দেশকে ফেরানোর সংগ্রামের সাথে পাকিস্তানপন্থীর রাজনীতিকে পরাজিত করা এবং সুশাসন-আইনের শাসন-সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত। জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ-সাম্প্রদায়িকতার বিপদকে খাটো করে দেখে ও আড়ালে রেখে বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটকে আলাদাভাবে মোকাবেলা করার রাজনৈতিক কৌশল আত্মঘাতী ও ভ্রান্ত। অসাম্প্রদায়িকতা-সুশাসন-সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমাদেরকে জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ-সাম্প্রদায়িকতা এবং দুর্নীতি- বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই দুই ফ্রন্টে একইসাথে লড়াই করতে হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসাইন মাসু, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রফিক উদ্দিন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ও জাতীয় যুবজোট কক্সবাজার জেলা সভাপতি অজিত কুমার দাশ হিমু, শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক জোট, কক্সবাজার জেলা সভাপতি আবদুল জব্বার, শ্রমিক-কৃষি শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক জোট, কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রবাল পাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও মহেশখালী উপজেলা জাসদ সভাপতি আশরাফুল করিম সিকদার নোমান, সহ-সম্পাদক খোরশেদ আলম অদুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য ও জাতীয় যুবজোট, কক্সবাজার জেলা সহ-সভাপতি মোঃ জাকের হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি আবদুর রহমান প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় যুবজোট, কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদার, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী বিষয়ক সম্পাদক রতন দাশ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ দাশ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক জোট কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক কায়সার হামিদ, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জেলা জাসদ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য একরামুল হক কন্ট্রাক্টার, আবুল হাসেম, শাখাওয়াত হোসেন সবুজ, মোঃ আমান উল্লাহ আমান, জাতীয় যুবজোট সদর উপজেলা সভাপতি নাছির উদ্দিন, শহর জাসদের ১১নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন আপেল, যুবজোট নেতা মোঃ আজম, নুরুল হক, রতন দে, মুন্নি বেগম, মোঃ জাবের, মোঃ রুবেল, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা নাছির উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন