ট্রেনে ভাড়ার ক্ষেত্রে রেয়াতি ব্যবস্থা (ভাড়ার ছাড়) ৪ মে থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে দূরের গন্তব্যে ট্রেনের ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রেলওয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে নতুন করে ভাড়া না বাড়িয়ে শুধু দূরত্বভিত্তিক যে রেয়াত (ছাড়) দেওয়া ছিল, তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
রেলওয়ের রেয়াতি ব্যবস্থায় ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটার ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটারে পাওয়া যায় ২০ শতাংশ ছাড়। এরপর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ থেকে তদূর্ধ্ব কিলোমিটার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।
আগামী ৪ তারিখ থেকে এই ছাড় আর থাকছে না। ফলে দূরের যাত্রার ট্রেনের ভাড়া বেড়ে যাবে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটারের পর ২০ শতাংশ এবং ২৫০ কিলোমিটারের পর ২৫ শতাংশ ছাড় পান যাত্রীরা।
এই রুটে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৪৫ টাকা। বিরতিহীন সোনার বাংলা ট্রেনে এই শ্রেণিতে ভাড়া ৪০৫ টাকা। কিন্তু রেয়াত সুবিধাবিহীন এবং বিরতিহীন পর্যটক এক্সপ্রেসে ভাড়া ৪৫০ টাকা। রেয়াত সুবিধা উঠে গেলে সাধারণ ট্রেনেও শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া হবে ৪০৫ টাকা।
যাত্রী ভাড়ায় রেয়াত সুবিধা বাতিল হলেও পণ্য পরিবহনে তা অব্যাহত থাকবে।
কারণ পরিবহন করার মতো পণ্যের সংকট রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ধরে রাখতে পণ্য পরিবহনে বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখা হবে।
এদিকে, ১৯৯২ সালে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করতে ওই সময় দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াত সুবিধা চালু করা হয়। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন