জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, হর্ন অব আফ্রিকার দেশ জিবুতির উপকূলে অভিবাসীদের নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১৬ জন মারা গেছে এবং ২৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এক্সে একটি পোস্টে বলেছে, শিশুসহ ৭৭ জন অভিবাসী নিয়ে জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ২৮ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং ১৬ জন মারা গেছে। স্থানীয় আইওএম শাখা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে।
সংস্থার একজন মুখপাত্র ইভন এনডেগে বিশদ বিবরণ না দিয়ে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে শিশু ও একটি নবজাতক রয়েছে।
জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বেরহানু সেগায়ে এক্সে বলেছেন, নৌকাটি ইয়েমেন থেকে ইথিওপীয় অভিবাসীদের নিয়ে যাচ্ছিল এবং স্থানীয় সময় সোমবার রাতে জিবুতির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গোডোরিয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এক নারীসহ ৩৩ জন বেঁচে গেছে বলেও জানান তিনি।
আইওএম ও জিবুতিতে অবস্থিত ইথিওপীয় দূতাবাসের মতে, এর আগে ৮ এপ্রিল গোডোরিয়া উপকূলে ৬০ জনেরও বেশি লোক বহনকারী আরেকটি নৌকা ডুবে গিয়েছিল। আইওএম সে সময় বলেছিল, শিশুসহ ৩৮ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে।
নৌকাটি ইথিওপীয় অভিবাসীদের জিবুতি থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে নিয়ে যাচ্ছিল বলে ইথিওপীয় দূতাবাস জানিয়েছিল।
প্রতিবছর হাজার হাজার আফ্রিকান অভিবাসী লোহিত সাগরের ওপারে এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছনোর চেষ্টা করে। সংঘর্ষ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে বা আরো ভালো অর্থনৈতিক সুযোগ খোঁজার চেষ্টা করতে তারা এ বিপজ্জনক কাজ করে থাকে।
আইওএমের মতে, গত বছর জিবুতি বা সোমালিয়া থেকে ইয়েমেনে যাওয়া প্রায় এক লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৭৯ শতাংশ ইথিওপীয়, বাকিরা সোমালি।
ফেব্রুয়ারিতে সংস্থাটি বলেছিল, গত বছর জিবুতি থেকে ইয়েমেনে যাওয়ার পথে এডেন উপসাগর পাড়ি দিয়ে নারী, শিশুসহ কমপক্ষে ৬৯৮ জন মারা গেছে।
আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ ইথিওপিয়া বিভিন্ন সংঘাতে আক্রান্ত এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চল মারাত্মক খরার শিকার হয়েছে। এর ১২০ মিলিয়ন বাসিন্দার ১৫ শতাংশেরও বেশি খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন