নিজেদের ব্রডকাস্ট চ্যানেলে নিয়মিতই নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আপডেট দিয়ে যাচ্ছে আইসিসি। এর নির্মাণকাজও প্রায় সমাপ্ত হওয়ার পথে। নিউ ইয়র্কের এই মাঠেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেখানে হবে ভারত-পাকিস্তান লড়াইও।
তবে উইকেট যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড থেকে তৈরি করে এনে বসিয়ে দেওয়া হবে, তাই এই ভেন্যুর পিচের চরিত্র নিয়ে অন্ধকারে প্রায় সবাই। পরিবারের সঙ্গে এখন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে থাকা সাকিব আল হাসানও যেমন, ‘আমি জানি না নিউ ইয়র্কের পিচ কেমন হবে।’
পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় থিতু হওয়া বাংলাদেশ দলের সাবেক ব্যাটার আফতাব আহমেদও নিশ্চিত করে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই, ‘নিউ ইয়র্কের আবহাওয়া ঠাণ্ডা-গরম মিলিয়েই হবে। তবে উইকেট কেমন আচরণ করবে, তা বলার পথ নেই।
ওখানে তো খেলা হবে ড্রপ ইন পিচে।’ তবে নিউ ইয়র্কে দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচ খেলার আগে ডালাসে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। ৭ জুনের যে ম্যাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। সেখানকার মাঠের উইকেট নিয়ে অবশ্য সাকিবের অনুমানকে ঠিক বলেই রায় দিলেন আফতাব।
কোচিং করানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে চুটিয়ে ক্রিকেটও খেলেন এই সাবেক ক্রিকেটার। নিজের খেলার অভিজ্ঞতা থেকে ঝটপট তাই এমন উপসংহার টেনে দিলেন, ‘সাকিব একদম ঠিক কথাই বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট বাংলাদেশের মতোই।’ আগের রাতেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক আয়োজনে অতিথি হয়ে যাওয়া সাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট নিয়ে বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় কন্ডিশন যেমন হবে, সেটি আমাদের সহায়তাই করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটও আমাদের (খেলার ধরনের) সঙ্গে বেশ মানানসই।
সেখানেও একই ধরনের উইকেট (বাংলাদেশের মতো) আমরা পেতে পারি। ডালাসেও আমাদের সহায়ক পিচ হতে পারে।’
সাকিব সম্ভাবনার কথা বললেও আফতাব তা নিশ্চিতই করে দিলেন। ফোনে তিনি বলছিলেন, ‘আটলান্টার বাইরে আমি ডালাস, মরিসভিল ও হিউস্টনে খেলেছি। নিউ ইয়র্কে কিন্তু খুব বেশি ক্রিকেট হয় না। সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টগুলো হিউস্টনেই বেশি হয়। এখানেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি হবে। এসব জায়গার উইকেট স্লো এবং টার্নিং। বাংলাদেশের উইকেটের মতোই।’ যুক্তরাষ্ট্রের উইকেটে চরিত্র বাংলাদেশের কাছাকাছি হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করলেন আফতাব, ‘আসলে এখানে ক্রিকেটটা ভারতীয়রাই বেশি খেলে। তাই উইকেটের পরিচর্যাও তাদের হাত দিয়েই হয়। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রেও বেশির ভাগ উইকেটই এশিয়ান ধাঁচের।’
ডালাসে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভিন্ন হলেই ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি, ‘এশিয়ান উইকেটে খেলতেও হবে এশিয়ার দলের বিপক্ষেই। এই ম্যাচটিতে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা হলেই বোধ হয় ভালো হতো।’ আফতাবের অবশ্য এই নিয়েও চিন্তা আছে, ‘এখানে এসে আমাদের ছেলেদের যে কী অবস্থা হবে! বাংলাদেশে এখন যে গরম পড়ছে বলে শুনছি, ডালাস আর হিউস্টনেও এর কাছাকাছিই।’ তবে সাকিবের মতো সহায়ক উইকেটে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি, ‘এটিও সাকিব ঠিক বলেছে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আজকাল উইকেট খুব গতিশীল হয় না। সে ক্ষেত্রে আমাদের স্পিনারদের ভালো করার সুযোগ আছে। স্লো আর টার্নিং উইকেট হলে আইপিএলের মতো বড় রানের ম্যাচ খুব বেশি হবে না।’
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন