বাকি সংগঠনগুলো কিছু না করলে একা শিল্পী সমিতি কিছু করতে পারবে না

রায়হান রাফীর ওয়েব ছবি ‘অমীমাংসিত’ নিষিদ্ধ করেছে সেন্সর বোর্ড। এই প্রসঙ্গ এবং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ।

‘অমীমাংসিত’ ছবিটি প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। আই স্ক্রিনের নির্বাহী আপনি, আপনারা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?

বুধবার চিঠিটি দেওয়া হয়েছে আমাদের।

প্রথম থেকেই বলে এসেছি, বাংলাদেশ সরকার ও আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। সেন্সর বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা নিয়ে আমাদের আক্ষেপ নেই। এখনো সুযোগ আছে আপিল করার। আমরা আপিল করব।

আশা করছি, শেষ পর্যন্ত ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র পাবে।

 

 

শিল্পী ও সাংবাদিকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিল্পীদের পক্ষে আপনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এতেই কি দায় এড়ানো গেছে বলে মনে করছেন?

আসলে কী বলব বুঝতে পারছি না।

সারা জীবন দেখে এসেছি শিল্পী-সাংবাদিক ভাই-বন্ধু। সবাই একটা পরিবার। অথচ এখন সেটা শত্রুতায় পরিণত হয়ে গেল। কোথা থেকে কী হলো! এমন কেন হলো? সাংবাদিকদের সব ধরনের প্রশ্ন করার অধিকার আছে। আপনি কোনটার উত্তর দেবেন, কোনটার উত্তর দেবেন না সেটা আপনার ব্যাপার।

তাই বলে চেয়ার দিয়ে পেটাতে হবে! হাসপাতালে পাঠাতে হবে? আমি এটা মানতে পারছি না। এটা মানাও যাবে না। এই এপ্রিল মাস চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা করেছেন। সেই মাসের ২৩ তারিখকে আবার কালো দিবস ঘোষণা করলেন সাংবাদিকরা। আমার তো মনে হয়, এর মধ্যে একটা সুপরিকল্পিত ব্যাপার আছে। পেছন থেকে কেউ কলকাঠি নাড়াচ্ছে, যেটা খালি চোখে দেখতে পাচ্ছে না কেউ। সবার উচিত কে বা কারা কলকাঠি নাড়াচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা।

 

 

সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডিপজল বলেছেন, হিন্দি ছবির প্রদর্শনী বন্ধ করবেন। এটাকে কিভাবে দেখছেন?

তিনি শিল্পীদের প্রতিনিধি। এ রকম কথা বলতেই পারেন। তবে দেখতে হবে তাঁর সঙ্গে সাধারণ শিল্পীরা আছে কি না! এফডিসিতে কিন্তু এখন ১৯টা সংগঠন। সেগুলোর মধ্যে একটা শিল্পী সমিতি। তাই বাকি সংগঠনগুলো কিছু না করলে একা শিল্পী সমিতি কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া এটা সরাসরি তথ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখছে। সরকার অনুমোদিত একটা বিষয়। চাইলেই কিছু করা যাবে না। আর হিন্দি ছবি প্রদর্শনী বন্ধ করে লাভ কী? দেশে কেউ কি সিনেমা নির্মাণ করছেন? আছেন কোনো প্রযোজক? বছরে ১০ থেকে ২০টি ছবি দিয়ে কি একটা ইন্ডাস্ট্রি চলতে পারে? ছবির অভাবে দিন দিন হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেদিকে খেয়াল না করে একেকটা আবদার করে বসে থাকলে চলবে!

 

আপনাকে কিন্তু অভিনয়ে একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না...

আমার ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে এখন যে পরিবেশ বিরাজ করছে, সেখানে কাজ না করাটাই ভালো। আমরা এই ধরনের পরিবেশে কাজ করে অভ্যস্ত নই। মারামারি-কাটাকাটির মধ্যে শিল্প-সংস্কৃতি হয় না। আমি অপেক্ষা করব সুদিনের। আশা করছি, সুদিন আসবে। তার মধ্যে নিজের ফিটনেসটাও একটু ফিরিয়ে আনতে চাই। দ্বিতীয় ইনিংসটা ভালো করেই শুরু করব। তত দিন আমার সঙ্গে আমার ভক্তদেরও অপেক্ষা করতে হবে।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন