পিএসজির লিগ ওয়ানের শিরোপা জেতাটা স্রেফ সময়ের ব্যাপার। এমনকি নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ হেরে গেলেও গোল ব্যবধানে ট্রফি নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে লুই এনরিকের দলের। লে হাভরেকে হারাতে পারলে আনুষ্ঠানিকভাবেও তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত। পার্ক দ্য প্রিন্সেসে শিরোপা উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েই হয়তো মাঠে এসেছিলেন পিএসজি সমর্থকরা।
কিন্তু লে হাভরকে হারিয়ে নিজ মাঠে শিরোপা উৎসব করতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। ম্যাচটা ৩-৩ গোলে ড্র করেছে পিএসজি।
পার্ক দ্য প্রিন্সেসে পিএসজিকে তো প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল অবনমন অঞ্চলে থাকা লে হাভরে। ৯৫ মিনিটে গনসালো রামোসের গোলে হার এড়ায় লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এই ড্রয়ের পরও আজ রাতেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে পিএসজির। লিওঁর মাঠে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকো পয়েন্ট হারালেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে প্যারিসের ক্লাবটি। কারণ, লিওঁর কাছে হারলে বা ড্র করলে মোনাকো আর পারবে না পিএসজিকে ছুঁতে বা পেছনে ফেলতে।
লে হাভরের সঙ্গে হোঁচট খাওয়ার পরও তিন ম্যাচ বাকি থাকতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকোর (৫৮ পয়েন্ট) চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে আছে পিএসজি (৭০ পয়েন্ট)।
তাদের চেয়ে একটা ম্যাচ অবশ্য কম খেলেছে মোনাকো। তবে গোল ব্যবধানে মোনাকোর (+১৮) চেয়ে যোজন দূরত্বে এগিয়ে পিএসজি (+৪৭)। তাই কাগজে-কলমেই শুধু লিগ জেতার সম্ভাবনা আছে মোনাকোর।
কারণ নিজেদের বাকি সব ম্যাচ জেতার পাশাপাশি পিএসজিকে হারতে হবে সব ম্যাচ। পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধান মেলানোর প্রায় অসম্ভব কাজ।
আজ রাতে মোনাকো পয়েন্ট হারালে বিলীন হয়ে যাবে সেই সম্ভাবনাও। আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও পিএসজির শিরোপা জেতাটা তাই নিশ্চিতই। লে হাভরেকে হারানোর পর সে কথাটাই জানিয়ে রাখলেন কোচ লুই এনরিক, ‘গাণিতিকভাবে হয়তো নয়, তবে আমরা প্রায় চ্যাম্পিয়ন-এ কথাটা আমরা মনে হয় বলতেই পারি। গোল ব্যবধান বিবেচনায় আমরাই শিরোপা জিততে যাচ্ছি।’
এবার জিতলে রেকর্ড ১২তমবার লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতবে পিএসজি। গত ১২ মৌসুমে এটা হবে তাদের ১০ম শিরোপা। ওই স্বপ্নে একাদশে আমুল বদলে দল সাজিয়েছিলেন লুই এনরিক। বুধবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এটা ভাবনায় রেখে লরিয়েঁর বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয়ী দলের ১০ জনকে বিশ্রাম দিয়ে একাদশ গড়েন পিএসজি কোচ।
পার্ক দ্য প্রিন্সেসে খেলার ১৯তম মিনিটে লে হাভরেকে এগিয়ে নেন ক্রিস্টোফার ওপেরি। দশ মিনিট পর পিএসজির হয়ে সমতা ফেরান ব্র্যাডলে বারকোলা। খানিকটা পরে আন্দ্রে আইয়ুর গোলে আবার এগিয়ে যায় লে হাভরে (২-১)। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে বল জালে জড়িয়ে স্কোর ৩-১ করেন আবদোউলায়ে তোরে। তখন মৌসুমে লিগে দ্বিতীয় হার চোখ রাঙাচ্ছিল পিএসজিকে। কিন্তু ৭৮ মিনিটে আশরাফ হাকিমির ব্যবধান কমানোর পর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে করা গনজালো রামোসের গোলে হার এড়িয়ে ড্র করে মাঠ ছাড়ে লুই এনরিকের দল।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন