নিজেদের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে রইল ডর্টমুন্ড

সিগনাল ইদুনা পার্কে শুরুটা দারুণ করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। শুরুর ছন্দ ধরে রেখে নিকলাস ফুলক্রুগের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়েও যায় স্বাগতিকরা। সেই লিড ম্যাচের বাকি সময়েও ধরে রাখে ডর্টমুন্ড। একের পর এক সুযোগ নষ্টের হতাশা সঙ্গী করে ১-০ গোলের হারে চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালে প্রথম লেগে পিছিয়ে রইল পিএসজি।

 

 

 

নিজেদের মাঠে ১৪ মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ পায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ইউলিয়ান ব্রান্ডের বাড়ানো পাস দুরুহ কোণ থেকে মারসেল সাবিতজারের কোনাকুনি গতির শট এগিয়ে এসে ফেরান পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোন্নারোম্মা। এরপর পিএসজির ওপর চাপ অব্যাহত রাখে স্বাগতিকরা। সুবাদে ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া গোল পেয়ে যায় ডর্টমুন্ড।

মধ্যমাঠের একটু নিচ থেকে স্কটারব্যাকের লম্বা পাস অফসাইড ফাঁদ ভেঙে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন নিকলাস ফুলক্রুগ, এরপর পিএসজির বক্সে ঢুকে বাম পায়ের গতির শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরেকবার পিএসজির রক্ষণ কাঁপায় ডর্টমুন্ড। ডি-বক্সের ভেতর থেকে সাবিতজারের ভলি ঝাপিয়ে ফেরান দোন্নারোম্মা।

 

 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফিরতে পারত পিএসজি কিন্তু ভাগ্যসহায় হয়নি।

কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আশরাফ হাকিমির প্রচেষ্টা পোস্ট কাপিয়ে ফেরে। ডি-বক্সের ভেতর থেকে এমবাপ্পের বাঁকানো শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল এমবাপ্পের পা ঘুরে হাকিমির পেলে তার শট কাছের পোস্টে প্রতিহত হয়। একটু পরেই হতাশ করেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি এই মিডফিল্ডার।

তার হেড চলে যায় বাইরে।

 

 

সুযোগ নষ্ট করে ডর্টমুন্ডও। জ্যাডন সাঞ্চোর কাটব্যাক ফাকায় পেয়েও তা পোস্টের উপর দিয়ে মারেন ফুলক্রুগ। শেষ দিকে উসমান দেম্বেলে আরেকটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে জার্মানি থেকে হার নিয়ে ফিরতে হয় প্যারিসের ক্লাবটির। ফাইনালে যেতে হলে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে পিএসজিকে। আর ডর্টমুন্ডের হার এড়ালেই চলবে। আগামী ৭ মে দিবাগত রাতে পার্ক দি প্রিন্সেসে হবে ফিরতি লেগের ম্যাচ।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন