চলতি মে মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত (২৯ বৈশাখ) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিত কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। অর্থাৎ দেরিতে শুরু হলেও বৈশাখের বাকি দিনগুলোর প্রায় পুরোটা জুড়েই রয়েছে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা। এ ছাড়া ৫ থেকে ৭ মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে প্রায় বর্ষাকালের মতো টানা দুই-তিন দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ৭ মে থেকে সে অঞ্চলে পাহাড়ি ঢল ও বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছড়িয়েছে। এর প্রভাবে গতকাল শুক্রবারও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক ছিল। রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
চাঁদপুর জেলা এবং ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে তা দেশের কিছু কিছু জায়গায় আজ থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে গতকাল দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেয়েছে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানানো হয়।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, সিলেট ও তার পাশের ভারতীয় রাজ্য মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। কয়েক দিনে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, আজ শনিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামীকাল রবিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশালের কিছু জায়গা এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরই চুয়াডাঙ্গায় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাম্প্রতিক দাবদাহে অন্যতম শীর্ষ উত্তপ্ত এই জেলায় গতকাল শুক্রবারও বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, জেলায় আপাতত এই তাপপ্রবাহ আরো দু-এক দিন থাকতে পারে। আগামী ৬ থেকে ১২ মের মধ্যে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন