সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১ নাগরিকের উদ্বেগ

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে শনিবার। ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তিনদিন পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১১ বিশিষ্ট নাগরিক।

 

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, খুশি কবীর, ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, শারমিন মুরশিদ, এমএস সিদ্দিকী, অধ্যাপক আকতার মাহমুদ, অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান এবং শরীফ জামিল।

বিবৃতিতে তারা বলেন, সুন্দরবনের ওই এলাকার যৌগিক বাস্তুতন্ত্র, বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এটা খুবই দুঃখজনক এবং উদ্বেগের বিষয় যে, কী কারণে সুন্দরবনের গভীরে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে তা স্পষ্টভাবে এখন পর্যন্ত জানাতে পারেনি বন কর্তৃপক্ষ। তবে সুন্দরবনে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যেহেতু ধারাবাহিকভাবে এ রকম ঘটনা ঘটছে, তাই এর কারণ অনুসন্ধান ও মানবসৃষ্ট প্রতীয়মান হলে দায়ীদের চিহ্নিত করতে সঠিক তথ্য উদঘাটন করা বাঞ্ছনীয়।

 

আমরা আরও জেনেছি যে, গত ২৪ বছরে সুন্দরবনে ২৬ বার আগুন লেগে সরকারি হিসেবে প্রায় ৭৫ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে এবং ২৪টি তদন্ত প্রতিবেদনে ১৫ বার বনজীবীদের ফেলে আসা আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুন্দরবনের জমি দখল ও প্রাণবিনাশী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এ অগ্নিকাণ্ডের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার।

 

তাই, আমরা এশিয়ার ফুসফুসখ্যাত সুন্দরবনে মানবসৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে বনবিভাগ ও অনান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পরিবেশকর্মী, সুন্দরবন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে যে কোনো সম্ভাব্য দুর্ঘটনা মোকাবিলায় বিজ্ঞানভিত্তিক আগাম প্রস্তুতি ও তড়িৎ পদক্ষেপের জোর দাবি জানাচ্ছি।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন