মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টার পদ হারাবেন তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প। আগামী বছরের ২০ তারিখ পর্যন্ত এ পদে তার চাকরি থাকবে। এর আগে তিনি তার বাবার ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি একটা পোশাকের নকশা করার ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। ট্রাম্পের রিয়্যালিটি শোর একজন বিচারকও ছিলেন ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা। তবে তার সবকিছুই ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্ভর। যে কারণে প্রশ্ন উঠেছে বাবার পরাজয়ের পর কী হবে ইভাঙ্কার। যদি ইভাঙ্কার তার বাবার ট্রাম্প ফাউন্ডেশনে যান তাহলেও সেখানে নিশ্চয়তা থাকছে না। ম্যানহাট ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস ইতিমধ্যে ট্রাম্পের কর নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসও ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। ট্রাম্পের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল কোহেন কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছিলেন, উত্তর নিউইয়ার্ক সিটিতে স্থাপিত ট্রাম্পের মালিকানাধীন সেভেন স্প্রিং স্টেট সম্পদের অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে ব্যাংক ব্রণ ও ইন্স্যুরেন্স সুবিধা নিতে চেয়েছিল। এ ছাড়া ইভাঙ্কার যে পোশাকের প্রতিষ্ঠান ছিল তা তিনি ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বন্ধ ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ইভাঙ্কা ট্রাম্প রিয়্যালিটি শোতে অংশগ্রহণের কথা ভাবছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে তা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা ভবিষ্যতে জানা যাবে। এ ছাড়া সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইভাঙ্কা রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। তিনি তার রাজনীতির নাম দিয়েছেন ‘ট্রাম্প-রিপাবলিকান’। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ বেকারদের তুলনায় ইভাঙ্কা আর তার স্বামী জেরাড কুশনারের রয়েছে অনেক সম্পদ। তাদের জীবন হয়তো অন্যদের মতো অভাবের মধ্যে কাটবে না। মার্কিন জনতা এবার তাদের প্রেসিডেন্টের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। নতুন প্রেসিডেন্ট খুঁজে নিয়েছেন মার্কিনিরা। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন