ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি ভবনে নিজেদের ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার (১৫ মে) গাজার জাবালিয়া শহরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার অধিকতর তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, নিহত সেনারা হলেন ক্যাপ্টেন রয় বেইট ইয়াকভ (২২), স্টাফ সার্জেন্ট গিলাদ আরিয়ে বোইম (২২), সার্জেন্ট ড্যানিয়েল চেমু (২০), সার্জেন্ট ইলান কোহেন (২০), স্টাফ সার্জেন্ট বেতজালেল ডেভিড শাশুয়া (২১)। তারা সবাই প্যারাট্রুপার্স ব্রিগেডের ২০২ ম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ও অতি রক্ষণশীল কোম্পানির অংশ ছিলেন।
আইডিএফ বলছে, এই দুর্ঘটনার পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর শাখাগুলোর মধ্যে যোগাযোগের অভাব, সৈন্যদের ক্লান্তি কিংবা নিয়ম বা যুদ্ধ কৌশলের প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগ না দেওয়া।
আইডিএফের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বুধবার প্যারাট্রুপারদের সঙ্গে জাবালিয়ায় হামলা চালাতে গিয়েছিল তাদের ট্যাংক বাহিনী। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি ভবন লক্ষ্য করে ট্যাংক থেকে দুটি গোলা ছোড়া হয়। ট্যাংক সেনারা ভেবেছিলেন, ভবনের ভেতরে হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আছেন। কিন্তু আসলে সেখানে ছিলেন ইসরায়েলি সেনারাই।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার সকালে ট্যাঙ্ক বাহিনী জাবালিয়ায় পৌঁছায়। তাদের কয়েক ঘন্টা পরে প্যারাট্রুপাররা সেখানে পৌঁছান ও একটি ভবনে অবস্থান নেন। ওইদিন সন্ধ্যায় প্যারাট্রুপারদের আরেকটি দল ওই এলাকায় পৌঁছায়। প্যারাট্রুপারদের দ্বিতীয় দলটি ওই ভবনে প্রবেশের বিষয়টি বাইরে অবস্থান নেওয়া দুটি ট্যাংকের ভেতরে থাকা সৈন্যদের জানান। এরপরও ভবটিতে ট্যাংক থেকে হামলা চালানো হয়।
এদিকে, ট্যাংক বাহিনীর দাবি, তারা একটি জানালা দিয়ে ভবনটির ভেতরে অস্ত্রের ব্যারেল দেখতে পেয়েছিলেন। এতে তাদের সন্দেহ হয় যে ভবনটির ভেতরে শত্রু বাহিনী অর্থাৎ হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা রয়েছেন। ফলে তারা দুটি শেল নিক্ষেপ করেন।
এই পাঁচ সেনার তাদের মৃত্যুতে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত ইসরায়েলি সৈন্যের সংখ্যা ২৭৮ এ পৌঁছালো।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন