ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—এআই) মানুষের জীবনধারাকে যেমন সহজ করবে, ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি। প্রযুক্তির এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ করে এআইয়ের বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ এ বছর প্রথমবারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।
প্রতিমন্ত্রী দিবসটি উদযাপনের তাত্পর্য তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউয়ের সদস্য পদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদের পরিকল্পনায় ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দুঃসাহসিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না।
’
পলক বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ করে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজলভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিগত বছরগুলোর বিস্ময়কর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে শামিল করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দারিদ্র্যের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার।
বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে। বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ৮০টি দেশে ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন