বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে জাহাজ চলাচল সহজ করতে নতুন একটি চুক্তি হচ্ছে। এ বিষয়ে ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট কো-অপারেশন’ শীর্ষক চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২০ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিমসটেক পোস্টাল শিপিং অ্যাগ্রিমেন্ট নামে একটি খসড়া আগে অনুমোদন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা গেছে যে, শ্রীলঙ্কার জাহাজ চলাচলের অংশটুকু কোস্টালে নয়, এটি গভীর সমুদ্রবন্দরের অংশ। সে কারণে পোস্টাল শিপিং অ্যাগ্রিমেন্টে শ্রীলঙ্কাকে অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছিল না। এজন্য এটার নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট কো-অপারেশন’ এ নামে এখন বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো চুক্তি করবে।
‘দুই দেশের মধ্যে মালামাল পরিবহনের জাহাজ চলাচলের জন্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে হয়। এখন জাহাজ চলাচলের জন্য আর আলাদা চুক্তি করতে হবে না। বিমসটেকের এ চুক্তির ফলে দ্বিপাক্ষিক আর চুক্তি করতে হবে না। বিমসটেকের সাতটি সদস্য রাষ্ট্র সবাই জাহাজ চলাচল করতে পারবে।’
তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি যখন হয় জাহাজের আকার ধরা হয় ২০ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত, যেটি আগের পোস্টাল শিপিং অ্যাগ্রিমেন্টে ছিল। এখন মেরিটাইম চুক্তিতে ২০ হাজারের অধিক যে জাহাজ আছে তারাও এটার মধ্যে থাকবে।
এছাড়া ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আপত্তি নিস্পত্তির জন্য এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে প্রোটোকল টু দ্য ডি-৮ পিটিএ অন ডিসপিউট সেটেলমেন্ট মেকানিজম-এ বাংলাদেশের সই করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ডেভেলোপিং এইট বা ডি-এইট নামে ওআইসির মধ্যে ছোট একটা গ্রুপ আছে। সেখানে আটটি দেশ- মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও বাংলাদেশ। তাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল ২০০৬ সালে।
চুক্তির আওতায় তারা পণ্য সংক্রান্ত বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিল। তবে সেই দেশগুলোর মধ্যে মাঝেমধ্যে ডিসপিউট (আপত্তি) তৈরি হয়। সেই ডিসপিউট কীভাবে সমাধান করবে সেটা ওই চুক্তিতে ছিল না। ডিসপিউট যদি হয় সেটি কীভাবে নিষ্পত্তি হবে সেজন্য প্রটোকলটির খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ প্রটোকলের আওতায় এখন থেকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে প্রথম ডিসপিউট নিরসন করবে। যদি আলোচনার মাধ্যমে না হয় তখন ডি-এইট এর তত্ত্বাবধানে একটা প্যানেল হবে। প্যানেলে যে রায় হবে সে রায়টি মেনে নিতে হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন