ঈদ যাত্রার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে ধরে নিয়ে ২ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করার প্রস্তাব জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ প্রস্তাব জানানো হয়। সভায় ঈদ যাত্রার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই সভায়ই অগ্রিম টিকিট বিক্রির দিন নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
সভা সূত্র বলছে, ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে আগামী ২ জুন থেকে ঈদ যাত্রায় ১০ দিন আগের আন্ত নগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ২ জুন থেকেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
কবে মিলতে পারে টিকিট
সভার কার্যপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবারও ঈদের অগ্রিম টিকিট পুরোটাই অনলাইনে বিক্রি হবে।
যাত্রীদের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচলা করা সব আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হবে। রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ২ জুন বিক্রি হতে পারে ১২ জুনের অগ্রিম টিকিট। একইভাবে ১৩ জুনের টিকিট ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন, ১৫ জুনের টিকিট ৫ জুন এবং ১৬ জুনের টিকিট ৬ জুন দেওয়া হতে পারে।
সূত্র বলছে, বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলে মোট ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সভায়।
দাঁড়িয়ে যাওয়ার (স্ট্যান্ডিং) টিকিট
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে আন্ত নগর ট্রেনের সব আসন বিক্রি শেষে মোট আসনের ২৫ শতাংশ দাঁড়িয়ে যাওয়ার (স্ট্যান্ডিং) টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিন ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে স্টেশনের কাউন্টার থেকে এসব টিকিট বিক্রি করা হবে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে সভায় অংশ নেওয়া রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী ২ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। কোনো সমস্যা না থাকলে ওই দিন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
এদিকে সভায় আলোচনা হয়েছে গতবারের মতো এবারের ঈদেও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা এবং যাত্রীদের নিরাপদে যাতায়াত নিশ্চিত করা হবে।
ট্রেনে ঈদ যাত্রা ও অগ্রিম টিকিটের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে আগামী সোমবার সংবাদ সম্মেলন হতে পারে।
ঢাকা থেকে আন্ত নগর ট্রেনে প্রতিদিন যাত্রী পরিবহনের আসন রয়েছে প্রায় ৩০ হজার। এ ছাড়া ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে। আন্ত নগর, লোকাল ও কমিউটার মিলিয়ে ঢাকা থেকে প্রতিদিন আসনে পরিবহন করা যাবে ৫০ হাজার যাত্রী। সেই হিসাবে পাঁচ দিনে আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে। তবে এর সঙ্গে আরো প্রায় আড়াই লাখ মানুষ দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র বলেছে, স্বাভাবিক সময় সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে এক লাখ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করে। ঈদের সময় এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ঈদের আগের পাঁচ দিনে ১০ লাখ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করবে।
আর ট্রেনে ঈদ যাত্রা স্বস্তি করতে কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে ‘এক্সেস কন্ট্রোল’ করা হবে। শৃঙ্খলা রাখতে প্ল্যাটফরমের প্রবেশমুখ থেকে স্টেশনের বাইরে পর্যন্ত বাঁশ দিয়ে সারি তৈরি করা হবে। উত্তরাঞ্চলের ট্রেন যেন নির্ধারিত সময়ে ঢাকা ছেড়ে যেতে পারে এ জন্য বিশেষ ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সূচি বিপর্যয় ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন