যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া। ব্যাখ্যাতীত পারফরম্যান্সে লজ্জায় ডোবা বাংলাদেশ অবশেষে ফিরলো স্বরূপে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শক্তির পার্থক্যটা তারা দেখালো শেষ টি-টোয়েন্টিতে এসে।
হিউস্টনে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৫০ বল হাতে রেখে জিতেছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। তবে বাংলাদেশ সিরিজ হেরেছে ২-১'এ।
এই ম্যাচে বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১১০ রানের। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আর সৌম্য সরকার মিলেই ম্যাচ শেষ করে দেন।
তানজিদ ৪২ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস। সৌম্য অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ৪৩ রানে। তিনি ৪টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কা হাঁকান।
এর আগে মোস্তাফিজুর রহমানের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১০৪ রানেই থামে যুক্তরাষ্ট্র। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে একাই ৬ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।
প্রথম তিন ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মাত্র ৬ রান। একটি মেডেনসহ উইকেট নেন ৪টি। শেষ ওভারে এসে দিলেন ৩ রান। নিলেন আরও দুটি উইকেট। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো বোলার টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন। মোস্তাফিজের বিধ্বংসী বোলিংয়েই দাঁড়াতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা।
টস জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটিটাই যা একটু দাঁড়াতে পেরেছিলো। ৫ ওভারে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৫ বলে ২৭ রান করা আন্দ্রিস গোউসকে ফিরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইনিংসে ধ্বস নামান সাকিব আল হাসান। এরপর ২০ বলে ১৮ রান করা শায়ান জাহাঙ্গিরকে ফেরান মোস্তাফিজ।
নিতিশ কুমার ৩, মিলিন্দ কুমার ৭, অ্যারোন জোন্স ২ রান করে আউট হন। কোরি অ্যান্ডারসন এবং স্যাডলি ফন স্কালউইক মাঝে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এন্ডারসন ১৮ এবং শ্যাডলি ১২ রানে আউট হয়ে যান। জসদিপ সিংককে ক্লিন বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। নিসর্গ প্যাটেল ২ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানে থামে যুক্তরাষ্ট্র।
মোস্তাফিজ ছাড়াও ১টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব, সাকিব আল হাসান এবং রিশাদ হোসেন। মোস্তাফিজের চেয়েও বেশি কৃপণ ছিলেন রিশাদ। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন তিনি।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন