ইন্টারন্যাশনাল টেলি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সিসিমপুর

কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড, অ্যান্থেম অ্যাওয়ার্ডের পর এবার বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ইন্টারন্যাশনাল টেলি এওয়ার্ড জিতল সিসিমপুর। সিসিমপুর টিভি সিরিজে নতুন চরিত্র জুলিয়ার অন্তর্ভুক্তি এবং পর্বগুলোতে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বা ইশারা ভাষা যুক্ত করে বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তির বার্তার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখায় সিসিমপুরকে ৪৫তম টেলি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। গত তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে তিনটি বিশ্বখ্যাত পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের শিশুদের জন্য নির্মিত জনপ্রিয় শিশুতোষ এ সিরিজ।

ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে অর্থপূর্ণ কাজ করে সমাজ ও বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার জন্য ১৯৭৯ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত টেলি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এ বছরের পুরস্কারের জন্য সারাবিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ১৩ হাজার অনুষ্ঠান জমা পড়ে।

​​​​​​​

বাংলাদেশের সিসিমপুর ছাড়াও এ বছর পুরস্কার পাওয়া বিশ্বখ্যাত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে দ্য নিউজ উইক, লিংকডইন, আল জাজিরা, ডিজনি, পেপসি ফাউন্ডেশন, এনবিসি টেলিভিশন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, স্কাই নিউজ, নাসা টেলিভিশন, ক্লিনটন ফাউন্ডেশন, ওয়ালমার্ট, ওয়ার্নার ব্রাদার্স।

ইন্টারন্যাশনাল টেলি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সিসিমপুর

বিজ্ঞাপন

২০২২ সালে শিশুদের অস্কারখ্যাত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল সিসিমপুর। এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জয় করে বিশ্বখ্যাত অ্যান্থেম অ্যাওয়ার্ড। তারও আগে ২০১০ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট পরিচালিত জরিপে সিসিমপুর বাংলাদেশে শিশুতোষ অনুষ্ঠান হিসেবে সেরা এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছিল।

২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ‘সিসেমি স্ট্রিট’র বাংলাদেশি সংস্করণ ‘সিসিমপুর’। শুরু থেকেই ‘ইউএসএআইডি বাংলাদেশ’র আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হয়ে আসছে জনপ্রিয় এ শিশুতোষ সিরিজ।

ইন্টারন্যাশনাল টেলি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সিসিমপুর

 

আন্তর্জাতিক টেলি অ্যাওয়ার্ড জয়লাভের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, আসলেই এটি ভীষণ আনন্দের সংবাদ। টেলি অ্যাওয়ার্ড অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পুরস্কার। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় যা আমাদের ভবিষ্যতের কাজকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শিক্ষা এবং তাদের শৈশবকে বিকশিত, আনন্দময় ও মজাদার করতে ১৯ বছর যাবত সিসিমপুর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। আমি মনে করি এই সাফল্য শুধু আমাদের একার নয়। আমাদের নির্মাণ সহযোগী, সম্প্রচার সহযোগী, লেখক, আঁকিয়ে, পাপেটিয়ার, কলাকুশলী এবং আমাদের দেশের সকল শিশু এই সাফল্যের অংশীদার।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন