প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে দক্ষিণাঞ্চলে অসংখ্য আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হয়েছে। যেন দুর্যোগকালে মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। ফলে হতাহত তেমন হয়নি।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) খেপুপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল কুমার নন্দীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যাদের ঘর ভেঙেছে তাদের ঘর সংস্কার ও নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে যাদের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে তাদের এবং কৃষির ক্ষতি হওয়ায় তাদের বীজ ও সার দিয়ে প্রান্তিক চাষিদের পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার শ্যামনগর ও কয়রা, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, বরগুনার পাথরঘাটা পরিদর্শন করেন। এরপর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হেলিপ্যাড মাঠে হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ করেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে খেপুপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে দুই হাজার ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, ভোজ্য তেলসহ মোট ১৪ কেজির বেশি খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
এরপর প্রধানমন্ত্রী কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদের ওপর নির্মিত শেখ কামাল সেতু পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদুৎ কেন্দ্রে যান। সেখানে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা করবেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন