অনাহারে মৃত্যুঝুঁকিতে গাজার ৩৫ হাজার শিশু

ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক হামলার মধ্যেই গাজায় জন্ম ফায়েজ আবু আতায়ার। সে বোঝে না যুদ্ধ বা হানাহানি কী জিনিস। কিন্তু গাজার নির্মম বাস্তবতা থেকে রেহাই পায়নি ফায়েজ। সাত মাস বয়সেই তীব্র অপুষ্টির কারণে গত সপ্তাহে মারা গেছে সে।

 

ইসরায়েলের হামলা আর ত্রাণসংকটের কারণে গাজায় তীব্র খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। খাবার না পেয়ে অনেক শিশুই তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। গতকাল সোমবার গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩৫ হাজারের বেশি শিশু খাবার, পুষ্টিকর পরিপূরক উপাদান ও টিকা সংকটের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। গণমাধ্যম কার্যালয় জানায়, এই শিশুরা তীব্র মাত্রায় পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।

 

এদের স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটছে এবং এরা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। সেইভ দ্য চিলড্রেনের এক কর্মকর্তা জানান,  ত্রাণ সংস্থাগুলো গাজার পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে। সেখানে অত্যাধিক শোচনীয় পর্যায়ের অপুষ্টি, বিশেষ করে শিশুদের অপুষ্টিতে ভুগতে দেখা যাচ্ছে। আর  দুর্দশা পরিস্থিতি পুরোটাই মানুষের সৃষ্টি।

 

জাবালিয়া ও বেইত হানুন ‘বিপর্যয়কর এলাকা

উত্তর গাজার জাবালিয়া ও বেইত হানুনকে বিপর্যয়কর এলাকা বলে ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনের পৌর কর্তৃপক্ষ।  ইসরায়েলি বাহিনীর টানা ২০ দিনের অভিযানে শরণার্থীশিবিরসহ জাবালিয়া শহরের বেশির ভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তারা অভিযান শেষ করার ঘোষণা দিলে লোকজন শরণার্থীশিবিরে ফিরতে শুরু করে। 

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন নিয়ে সংশয়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলে ধরা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের তিন দিন পরও গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামাস বাইডেনের চুক্তিটি নিয়ে আগ্রহ দেখালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবেন কি না তা অনিশ্চিত।

 

এ অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদিত হবে কি না সংশয় বাড়ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলে ধরা প্রস্তাব হামাস গ্রহণ করলে ইসরায়েলও তাতে ইতিবাচক সম্মতি দেবে।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন