রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, নাটকীয়তা ভরা ম্যাচের সাক্ষী হল ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বাংলাদেশকে সিরিজ হারিয়ে চমকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র কানাডার পর এবার কাঁপিয়ে দিল পাকিস্তানকে। শুধু কাঁপিয়ে দিয়ে নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তিদের হারিয়ে তুলে নিয়েছে ঐতিহাসিক জয়। সুপার ওভারে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে স্বাগতিকরা অঘটনই ঘটিয়েছে।
অঘটন বলা যায় কি না, এনিয়ে তর্ক হতে পারে। তবে মার্কিনিদের কাছে এই জয় যে ঐতিহাসিক তা বলাই যায়। কেননা প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে এসেই সাবেক চ্যাম্পিয়ন ও টেস্ট খেলুড়ে দলকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে ইতিহাস রচনা করেছে তারা।
১৬০ রান তাড়া করতে নামা যুক্তরাষ্ট্রের শেষ বলে দরকার ছিল পাঁচ রান।
হারিস রউফের করা সেই বলে নিতিশ কুমার রাউন্ডারি মেরে ম্যাচ নিয়ে যান সুপার ওভারে। ভাগ্য নির্ধারণী মোহাম্মদ আমিরের ওভারে যুক্তরাষ্ট্র তুলে ১৮ রান। জবাব দিতে নেমে সৌরভ নেত্রাভালকারের করা ওভারে পাকিস্তান তুলতে পারে ১৩ রান। তাতে ৫ রানের জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয় যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধস নামে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তিন উইকেটে তাদের বোর্ডে যোগ হয় মাত্র ৩০ রান। ২৬ রানের মধ্যে মোহাম্মদ রিজওয়ান (৯), উসমান খান (৩) ও ফখর জামানকে (১১) হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা। নসথুশ কেনজিগে, আলী খান, সৌরভ নেত্রাভালকারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারছিল না পাকিস্তানের ব্যাটাররা। এরপর শাদাব খান ২৫ বলে তিন ছক্কা ও একটি চারে করেন ৪০ রান।
শূন্য রানে ফেরেন আজম খান। ধীরগতিতে ব্যাট করা বাবর আজম ৪৩ বলে করেন ৪৪ রান। শেষ দিকে শাহীন আফ্রিদির ১৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে লড়াইয়ের পুজি পায় পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে স্টেভেন টেইলরকে (১২) নাসিম শাহ ফেরালেও অধিনায়ক মোনাংক প্যাটেল ও আন্দ্রিয়েস গুসের ব্যাটে এগোতে থাকে। গুস (৩৫) ফেরার আগে দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৬৮ রান। দ্রুতই ফিরে ফিরে যান অধিনায়ক মোনাংক প্যাটেলও (৫০)। আগের ম্যাচে বিধ্বংসী ইনিংস খেলা অ্যারোন জোনস (৩৫) এদিনও আশা বাঁচিয়ে রাখেন। শেষ ওভারে ১৫ রান লাগলে যুক্তরাষ্ট্র তুলে ১৪ রান। তাতে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেই বাজিমাত করে অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন