নিজস্ব প্রতিবেদক ,,
সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। ডুবন্ত বাসা, দোকানপাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর নতুন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সব জায়গায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে সেপটিক ট্যাঙ্কের ময়লার দুর্গন্ধে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজনের নাভিশ্বাস উঠছে। নিরাপদ পানির অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
গত রবিবার (২ জুন) রাতে কয়েক ঘন্টার বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েন নগরীর উপশহর, যতরপুর, সোবহানীঘাট, মাছিমপুর, ছড়ারপাড়, মেন্দিবাগ, তেররতন, সাদারপাড়া, কুশিঘাট, তালতলা, তেলিহাওর, জামতলা, জল্লারপাড়, মির্জাজাঙ্গাল, জামতলা, জিন্দাবাজার, দরগাহ মহল্লা, মুন্সিপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘীরপাড়, হাওয়াপাড়া, কানিশাইল, কাজলশাহ, বাঘবাড়ি, নাইওরপু, মাছুদিঘীরপাড়, ভাতালিয়া, লামাবাজার, বিলপাড়, জেলরোড, সওদাগরটুলা, দাঁড়িয়াপাড়া, শিবগঞ্জ, সোনারপাড়া, শেখঘাট, কলাপাড়া, মজুমদারপাড়া, খাসদবীর, চৌকিদেখি, লালদিঘীরপাড়, আগপাড়াসহ নগরীর দক্ষিণ অংশের বেশিরভাগ এলাকার বাসিন্দারা। গত বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে এখনো নগরীর অন্তত ১০টি এলাকা পানির নিচে রয়েছে।
এদিকে সিলেটে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। আর্বজনাযুক্ত পানিতে গোসল করে বিভিন্ন কলোনীর শিশু-কিশোরদের শরীর চুলকায়; অ্যালার্জির মতো গোটা বের হচ্ছে। অনেকের জ্বর ও ডায়রিয়া দেখা দিচ্ছে। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ।
জানা গেছে, সিলেট নগরীর কিছু এলাকার বাসাবাড়ি থেকে পানি নামলেও নিম্নাঞ্চলে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে। দুর্গন্ধের কারণে নগরীর কিছু এলাকায় বাসিন্দাদের নাকে রুমাল দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। ময়লা পানি মাড়িয়ে অনেকে বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছে। ময়লা ও নোংরা পানির দুর্গন্ধে পানিবাহিত সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সিলেটভিউকে বলেন, বন্যাকবলিতদের চিকিৎসাসেবা দিতে আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে। এবার বন্যায় মানুষ সেরকম ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন না। অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন ইতোমধ্যে আমরা তাদের মেডিসিন দিয়েছি। প্রতিদিনই আমাদের এই কার্যক্রম চলছে। পানিবাহিত রোগ নিয়ে আমরা সর্তক আছি।
গত ২৭ মে থেকে সিলেটের ১০টি উপজেলা বন্যা আক্রান্ত রয়েছে। কোথাও পানি কমছে আবার কোথাও পানি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বেশীরভাগ জায়গায় উন্নতি হচ্ছে বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন