ছেলে দোষী সাব্যস্ত হলেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন বাইডেন

মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় ছেলেকে দোষী সাব্যস্ত করে জুরিবোর্ডর দেওয়া সিদ্ধান্তকে সম্মান করবেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যারের একটি আদালত দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে চলা এ ফৌজদারি মামলার শুনানির পর হান্টারকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছেলের বিচারে উপস্থিত ছিলেন না তবে  ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হান্টার বিডেনের স্ত্রী, বোন এবং চাচা সকলেই মামলা চলাকালীন সময় তাকে সমর্থন করতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রেসিডেন্ট বাইডেন রায়ের পর উইলমিংটনের ডেলাওয়্যারে উড়ে এসেছিলেন। সেখানে তিনি তার ছেলেকে আলিঙ্গন করেন। বাইডেন এক  বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট কিন্তু আমি একজন বাবাও। জিল এবং আমি আমাদের ছেলেকে ভালোবাসি এবং আজ সে যে মানুষ তার জন্য আমরা গর্বিত।

’ তিনি আরো বলেন, এই মামলার ফলাফল মেনে নিয়েছি এবং ... বিচারিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করেন। হান্টার আপিল করার কথা ভাবছেন বলেও তিনি জানান। 

 

ছেলের বিরুদ্ধে যে ধরনের সাজাই ঘোষণা করা হোক না কেন, এ বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি তার শ্রদ্ধা বজায় থাকবে বলে জানান বাইডেন। এর আগেও তিনি বলেছেন, হান্টার দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি তার ক্ষমতাবলে ছেলের সাজা মওকুফ করে দেবেন না।

 

 

বিবিসির খবরে বলা হয়, বাইডেনপুত্রের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় তিনি মিথ্যা তথ্য দেন। দ্বিতীয় অভিযোগ, অস্ত্র বিক্রেতার নথিপত্রেও মিথ্যা তথ্য থাকার বন্দোবস্ত করেন।

তৃতীয় অভিযোগ হলো, হান্টার বাইডেন অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কাছে রেখেছিলেন। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হান্টার বাইডেনের সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এর মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড, অস্ত্র বিক্রেতার নথিতে মিথ্যা তথ্য সন্নিবেশের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখায় তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

 

ডেলাওয়ারের সরকারি কৌঁসুলিদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে একটি হ্যান্ডগান কিনেছিলেন হান্টার বাইডেন। সেই অস্ত্র কেনার সময় নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। গত শুক্রবার (৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মেয়ে নাওমি বাইডেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষ্য নেননি আদালত।
২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হান্টারের বড় ভাই বিউ বাইডেন।

হান্টার বাইডেন তার আত্মজীবনী ‘বিউটিফুল থিংস’-এ লিখেছেন, ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে হান্টার মাদক ছাড়েন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের অস্ত্র কেনার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অস্ত্র কেনার সময় একজন ব্যক্তিকে আবেদনপত্রে অবশ্যই এটা উল্লেখ করতে হবে যে তিনি মাদকে আসক্ত কি না।

 

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন